ছবি-ভিডিও এডিটের এআই টুল আনছে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম
সম্প্রতি মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের জন্যে দুইটি নতুন এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক টুলের ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই সৃজনশীল ছবি ও ভিডিও তৈরি এবং এডিট করা যাবে।
ইমু এডিট ও ইমু ভিডিওর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধু টেক্সট প্রম্পট বা লিখিত নির্দেশনার মাধ্যমে ছবি এডিট ও ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। টুল দুটি মেটার ছবি তৈরির মূল মডেল ইমুর উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে।
ইমু এডিটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পেশাদার দক্ষতা ছাড়াই শুধু টেক্সট ইনপুট দিয়ে ছবি এডিট করতে পারবেন। টুলটির এডিটিংয়ের প্রক্রিয়া অনেকটা অ্যাডোব, গুগল ও ক্যানভার মতোই। তবে এটি লিখিত নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে একটি ছবির নির্দিষ্ট অংশগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এডিট করতে পারে।
এখানে ম্যানুয়াল সিলেক্ট বা পেশাদার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না।
ধরুন, আপনি একে নির্দেশ দিলেন ছবির 'কুকুরটিকে পান্ডায় রূপান্তর করো'। এটি তখন ছবিটির অন্যান্য উপাদানগুলোকে প্রভাবিত না করেই কুকুরটিকে পান্ডায় পরিবর্তন করে দিবে। এছাড়া, এর মাধ্যমে আপনি ছবিতে থাকা বিভিন্ন টেক্সটও এডিট করতে পারবেন। আপনি যদি এটিতে 'রিমুভ টেক্সট' লিখেন, তাহলে এটি ছবির কোনো পরিবর্তন না করে ছবিতে থাকা লেখাগুলো (বা সুনির্দিষ্ট লেখা) মুছে দেবে।
অপরদিকে ইমু ভিডিওতে সরাসরি টেক্সট প্রম্পট, রেফারেন্স ইমেজ কিংবা দুটির সংমিশ্রণেও ভিডিও তৈরি করা যাবে। যদিও ফলাফলগুলো এখনও খুব একটা বাস্তবসম্মত আসছে না।
তবে মেটা বলছে, এটি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।
মেটার অফিসিয়াল ব্লগ অনুযায়ী ইমু ভিডিও দুইটি ডিফিউশন মডেল ব্যবহার করে চার সেকেন্ড দীর্ঘ ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১৬ ফ্রেমের ভিডিওর রেজ্যুলুশন হবে ৫১২×৫১২।
মেটার তথ্যানুসারে, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা খুব শিগগির ইমু এডিট ও ইমু ভিডিও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, টুলগুলো কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কে তারা এখনও কিছু জানায় নি।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, টুলগুলো ব্যবহারকারীদের আরও সুবিধাজনক ও সৃজনশীল এডিটিংয়ের অভিজ্ঞতা দেবে। এ ছাড়া, এসব টুল ক্যানভা ও ফটোশপের মতো থার্ড পার্টি সফটওয়্যারগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাবে।
ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন আহমেদ বিন কাদের অনি
Comments