কমবয়সীদের অনলাইনে সুরক্ষিত রাখবে ইনস্টাগ্রামের ‘টিন অ্যাকাউন্ট'

গত মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রাথমিকভাবে ‘টিন অ্যাকাউন্ট’ সেবা চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে সারা বিশ্বে এই সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।
ইনস্টাগ্রাম টিন। ছবি: মেটা
ইনস্টাগ্রাম টিন। ছবি: মেটা

অনলাইনে কমবয়সী ইউজার, অর্থাৎ, শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে 'টিন অ্যাকাউন্ট' সেবা চালু করেছে ইনস্টাগ্রাম। একইসঙ্গে বাড়ছে এ ধরনের অ্যাকাউন্টে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণের মাত্রা।

গত মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রাথমিকভাবে 'টিন অ্যাকাউন্ট' সেবা চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে সারা বিশ্বে এই সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।

১৮ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিন অ্যাকাউন্টে রূপান্তরিত হবে। এ ধরনের অ্যাকাউন্টে প্রাইভেসি সেটিংস আগের চেয়ে আরও কঠোর হবে।

ফলোয়ার না, এমন কেউ অ্যাকাউন্টের কোনো ছবি দেখতে পারবে না। ইউজারের এপ্রুভাল ছাড়া কেউ ফলোয়ার হিসেবে যোগ হতে পারবেন না।

১৬ বছরের কমবয়সী ইউজাররা অ্যাকাউন্টের সেটিংস পরিবর্তন করতে গেলে সেটার জন্য অভিভাবকের অনুমতি লাগবে। 'প্যারেন্ট' অ্যাকাউন্ট হিসেবে বাবা অথবা মা বা উভয়কে আগে থেকেই যোগ করে রাখতে হবে।

ইনস্টাগ্রাম টিন অ্যাকাউন্টের ওপর অভিভাবকদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকছে। ছবি: মেটা
ইনস্টাগ্রাম টিন অ্যাকাউন্টের ওপর অভিভাবকদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকছে। ছবি: মেটা

টিন অ্যাকাউন্ট ইউজাররা কাকে বার্তা পাঠাচ্ছে, কোন বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সেগুলোও দেখতে পারবেন বাবা-মায়েরা।

এছাড়া, টিন অ্যাকাউন্ট ইউজারদের সামনে যেন কোনো ক্ষতিকর কনটেন্ট না আসে, সেটিও নিশ্চিত করবে ইনস্টাগ্রামের অ্যালগরিদম। 

মেটার নীতিমালা অনুযায়ী, ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুরা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবে না। ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাইয়ের জন্য আগামী বছর থেকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে মেটা।

অল্পবয়সীদের জন্য অনলাইন জগতকে আরও নিরাপদ করতে বৈশ্বিক চাপের মুখে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে কমবয়সীদের সুরক্ষায় তাদের যথেষ্ঠ উদ্যোগ নেই।

গ্রন্থনা: কিরো আদনান আহমেদ 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges countries to engage with 'new Bangladesh'

Highlighting the context of the anti-discrimination student movement and the changes it brought to Bangladesh, Prof Yunus said the "power of the ordinary people", in particular the youth, presented to the nation an opportunity to overhaul many of the systems and institutions

10h ago