দক্ষিণ কোরিয়ার ‘খুনী রোবট’

দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানাগুলোতে এ ধরনের রোবট খুবই সুপরিচিত দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানাগুলোতে এ ধরনের রোবট খুবই সুপরিচিত দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি পণ্যের কারখানার এক কর্মচারীকে মরিচ ভর্তি বাক্স মনে করে  উঠিয়ে নেয় রোবট। এরপর তাকে কনভেয়ার বেল্টে চেপে ধরে রোবটটি। 

দেশটিতে এই 'খুনী রোবটের' কার্যক্রম নিয়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ইয়োনহাপের বরাত দিয়ে এ বিষয়টি জানিয়েছে স্কাই নিউজ। নিহত ব্যক্তির বয়স চল্লিশের ঘরে এবং তিনি রোবটের সেন্সর সমস্যা খতিয়ে দেখছিলেন বলে জানা গেছে।  

গত ৬ নভেম্বর এই রোবটের কার্যকারিতা পরিদর্শনের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এর সেন্সরে সমস্যা থাকায় তা দুই দিন পিছিয়ে ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

দেশটির দক্ষিণ গেওংসাং প্রদেশের একটি কৃষিজাত পণ্যের কারখানায় এই  মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রোবটটি বাক্স থেকে মরিচ উঠিয়ে সেগুলোকে কনভেয়ার বেল্টের ওপর সহজে বহনযোগ্য ক্রেটে (প্যালেট নামে পরিচিত) রাখছিল। এ ধরনের রোবট দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। মানবকর্মী নিয়োগের খরচ বাঁচাতে ও দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য দেশটির কারখানাগুলোতে এটি খুবই জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত প্রক্রিয়া।

এ সময় পরিদর্শনে ব্যস্ত কর্মীকে মরিচ ভর্তি বাক্স ভেবে ভুল করে উঠিয়ে নেয় স্বয়ংক্রিয় রোবট।

পুলিশ জানিয়েছে, রোবটের যান্ত্রিক হাত ওই ব্যক্তির শরীরের উপরের অংশকে কনভেয়ার বেল্টে চেপে ধরে। এতে তার মুখ ও বুক পিষ্ট হয়।

আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এই ঘটনার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে কারখানার মালিক ডংগোসেওং অ্যাগ্রিকালচারাল কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, কারখানায় 'নিরাপদ ও নির্ভুল কাজের পরিবেশ' নিশ্চিত করা হবে।

গত মার্চ মাসে অন্য আরেকটি ঘটনায় দেশটিতে রোবটের হাতে আরেক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তি যানবাহনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী একটি কারখানায় কাজ করার সময় একটি রোবট তাকে মারাত্নকভাবে জখম করে।

সূত্র: স্কাই নিউজ, বিবিসি

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago