টেলিগ্রামে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে ২৫ লাখ ব্যবহারকারী

টেলিগ্রামের লোগো সম্বলিত প্রতিকী ছবিঃ রয়টার্স
টেলিগ্রামের লোগো সম্বলিত প্রতিকী ছবিঃ রয়টার্স

বড় আকারের ফাইল পাঠানো থেকে শুরু করে এনক্রিপ্টেড মেসেজিংয়ের জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্মে প্রতি মাসে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ কোটি ছাড়িয়েছে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোপনীয়তা সুনিশ্চিত রাখার জন্য খ্যাত এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন ২৫ লাখ নতুন সাইন-আপ বা ব্যবহারকারী যুক্ত হচ্ছেন।

মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা সম্পর্কিত কিছু সেটিংস পরিবর্তনের পর ২০২২ সালে টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।

সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মটিতে নতুন অনেক ব্যবহারকারী যোগ হওয়ায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার খরচ বাড়লেও, এর  প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভ টেলিগ্রামের ভবিষ্যৎ সাফল্য নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী।

রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুরভ এক পোস্টে বলেন, ]যদিও এই ব্যাপক প্রবৃদ্ধির কারণে আমাদের ব্যবহারকারীদের সেবা দেওয়ার জন্য স্টোরেজ ও ওয়েব ট্রাফিকের পেছনে উচ্চ ব্যয় হবে। তবুও আমরা খুশি এবং কৃতজ্ঞ।'

টেলিগ্রাম এখনও লাভের মুখ দেখেনি। তাই অর্থায়নের সুবিধার জন্যে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি প্রায় ২৭ কোটি মার্কিন ডলারের বন্ড বাজারে ছেড়েছে। নতুন অর্থায়নের লক্ষ্য এটিকে 'ব্রেকইভেন' পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া।

দুরভ উল্লেখ করেন যে, তিনি এই নতুন বন্ডে ইতোমধ্যে ১ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও, গত ১ দশকে তিনি এই প্ল্যাটফর্মের পেছনে কয়েক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছেন। এমনকি শুধু অ্যাপটি চালু রাখার জন্যেও তাকে কোটি কোটি ডলার খরচ করতে হয়েছে।

২০২২-এর ফোর্বস বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় দুরভের মোট সম্পদের পরিমাণ অনুমান করা হয় ১১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রুশ নাগরিক দুরভ ২০১৩ সালে রাশিয়া ছেড়ে যান। এরপর তিনি ফ্রান্স প সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে টেলিগ্রাম দুবাইয়ে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এর প্রকৃত সদর দপ্তরের অবস্থান অজ্ঞাত।

এ বছরের শুরুতে, অ্যাপটির উৎস রাশিয়ার হওয়ার জের ধরে নরওয়ে তাদের সব সরকারী ডিভাইস থেকে টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করে। অপরদিকে, ব্রাজিলের একটি আদালত কথিত অনেকগুলো 'নব্য-নাৎসি' অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করতে বলায় টেলিগ্রাম সেটি অস্বীকার করে। যার কারণে তারাও অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করে। তবে, পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুতই প্রত্যাহার করা হয়।

বেশ কিছুদিন ধরেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ও স্ন্যাপচ্যাটের পাশাপাশি বিকল্প ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এমন কী, বাংলাদেশেও অনেক প্রতিষ্ঠানে ও ব্যক্তি পর্যায়ে এর ব্যবহার বেড়েছে। আশা করা যায়, আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি

তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ, আরটি

Comments

The Daily Star  | English

ACC to sue Hasina, Rehana and her children over Purbachal plot allocation

The allocations include six plots, each measuring 10 kathas, in the diplomatic zone of Purbachal New Town project

2h ago