টুইটারের ‘বিকল্প’ আনছে মেটা

টুইটারের ‘বিকল্প’ আনছে মেটা
ছবি: মেটা

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, তারা এমন একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে কাজ করছে যেটি হবে 'টেক্সট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম'। 

তবে, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি হতে যাচ্ছে টুইটারের সম্ভাব্য বিকল্প। মেটা এই ঘোষণা এমন এক সময়ে দিলো, যখন নজিরবিহীন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে টুইটার। 

ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা জানিয়েছে, 'নির্মাতা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের বিষয়গুলো যাতে লেখার মাধ্যমে সময়মতো প্রকাশ করতে পারেন, এমন একটি আলাদা মাধ্যম তৈরির সুযোগ রয়েছে।'

নতুন এই প্ল্যাটফর্মটি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

মেটার নতুন প্ল্যাটফর্মটি অন্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ইন্টারঅপারেশন' এবং বিকেন্দ্রীকৃত সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে কাজ করবে, যা কিছুটা টুইটারের মতো। অন্য নেটওয়ার্কের পোস্টও ব্যবহারকারীরা চাইলে এই প্ল্যাটফর্মে ব্রডকাস্ট বা প্রচার করতে পারবেন। 

টুইটারে অবশ্য এই সুবিধা বর্তমানে নেই। গত ডিসেম্বরে টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক অন্য সামাজিক মাধ্যমের লিংক শেয়ার করা হয়েছে, এমন টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করেছিলেন। 

ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবও বর্তমানে ইন্টারঅপারেশন সমর্থন করে না। 

২০২১ সালে একজন ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন যে, প্রতিষ্ঠানটি জানতো কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল। ফেসবুক পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখে 'মেটা'। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এই মেটাভার্সের ওপর বড় বিনিয়োগ করেছেন। এটি হচ্ছে থ্রিডি নেটওয়ার্কভিত্তিক ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি সম্পন্ন একটি জগৎ। 

জাকারবার্গ বলেছেন, ভবিষ্যতে এই মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের মূল বিষয়। যদিও মেটাভার্স প্রকল্প এখনো সেভাবে সফলতার মুখ দেখেনি।

টুইটারের কী অবস্থা?

ফেসবুক এবং টুইটারের প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দুটিই প্রতিষ্ঠিত। 

গত বছরের অক্টোবরে এলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই টুইটারে ব্যপক বিশৃঙ্খলা, কর্মীছাঁটাই ও বিজ্ঞাপণদাতার প্রস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

দুই তৃতীয়াংশ কর্মীছাঁটাইয়ের পর বর্তমানে টুইটার ন্যূনতম কর্মীদের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে, ফলে প্রায়ই টুইটারে বিভিন্ন  সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এসব ঘনঘন সমস্যাকে ব্যাপক কর্মীছাঁটাইয়ের ফল বলে মনে করছেন অনেকে। 

 

সূত্র: ডয়চে ভেলে
গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments