কিবোর্ডের ফাংশন বাটন চাপলে যা হয়

ফাংশন বাটন
কিবোর্ডের ওপরের সারির ১২টি ফাংশন কি’র ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

ল্যাপটপ বা পিসি কিবোর্ডের উপরের সারির এফ ১ থেকে শুরু করে এফ ১২ চিহ্ন সম্বলিত বাটনগুলোর কাজ কী, তা নিয়ে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই।

খুব বেশি হলে হয়তো আপনি সাউন্ড ও ব্রাইটনেস বাড়ানো-কমানোর কাজে এরকম কয়েকটি বাটন ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তবে এর বাইরেও এগুলোর আরও অনেক কাজ আছে। এগুলোকে বলা হয় ফাংশন কি। আপনি কোন ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করছেন, এগুলোর কাজ তার ওপর নির্ভর করে। তবে বেশিরভাগ কিবোর্ডের ক্ষেত্রে এই বাটনগুলোর কাজ একই।

এখানে এফ ১ থেকে এফ ১২ পর্যন্ত প্রতিটি বাটনের রহস্য উন্মোচন করা হলো।

এফ ১

উইন্ডোজ বাটন + এফ ১ বাটন চাপলে উইন্ডোজ হেল্প মেন্যু খুলবে।

মাইক্রোসফট এক্সেল বা ওয়ার্ডে কন্ট্রোল + এফ ১ বাটন চেপে ওপরের রিবন মেনু ডিসপ্লে বা শো করানো যাবে।

এফ ১ চেপে মোটামুটি সব প্রোগ্রামের 'হেল্প মেনু' খোলা যায়।

ফাংশন বাটন
এই লেখায় এফ ১ থেকে এফ ১২ পর্যন্ত প্রতিটি বাটনের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

এফ ২

অল্টার + কন্ট্রোল + এফ ২ চাপলে মাইক্রোসফট অফিসের ডকুমেন্ট লাইব্রেরি খুলবে।

কন্ট্রোল + এফ ২ দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা যায়।

শুধু এফ ২ চেপে মাইক্রোসফট এক্সেলের একটিভ সেল এডিট করা যায়।

কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম এডিট করা যায়। ফাইল বা ফোল্ডারের ওপর ক্লিক করে এফ ২ চাপলেই রিনেমের অপশন আসে।

এফ ৩

উইন্ডোজে সার্চ ফিচার চালু হবে।

শিফট + এফ ৩ চেপে ওয়ার্ড ফাইলের সব অক্ষর ছোট হাতের থেকে বড় হাতের করা যাবে। উল্টোটাও করা যাবে। আগে লেখা সিলেক্ট করে নিতে হবে। এটি ইংরেজির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এই বাটন চাপলে ফায়ারফক্স ও ক্রোম ব্রাউজারের 'ফাইন্ড' ফিচার চালু হবে।

এফ ৪

অল্টার + এফ ৪ উইন্ডোজের চলমান প্রোগ্রাম বন্ধ করবে।

এক্সপ্লোরারে চাপলে এটি কার্সরের অ্যাড্রেস বারে নিয়ে যাবে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্বশেষ অ্যাকশনটি রিপিট করবে। অর্থাৎ, আপনি যদি কিছু লিখে এই বাটনটি চাপেন, তাহলে একই লেখা পুনরায় লেখা হবে।

এফ ৫

পাওয়ারপয়েন্টের স্লাইডশো শুরু করা যায়।

ব্রাউজারের ট্যাব রিফ্রেশ করা যায়।

কন্ট্রোল + এফ ৫ ওয়েব পেজ পুরোপুরি রিফ্রেশ (হার্ড রিফ্রেশ) করবে। ক্যাশের কারণে লোডিং ঠিকমতো না হলেও তা ঠিক হয়ে যাবে।

মাইক্রোসফট অফিসে 'ফাইন্ড এন্ড রিপ্লেস' চালু হবে।

এফ ৬

একাধিক ওয়ার্ড ফাইল ওপেন থাকলে কন্ট্রোল + শিফট + এফ৬ চেপে একটা থেকে আরেকটায় যাওয়া যায়।

ফাংশন বাটন
এফ ১ থেকে এফ ১২ পর্যন্ত বাটনের রহস্য। ছবি: সংগৃহীত

এফ ৭

এফ ৭ দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের লেখার বানান ভুল যাচাই করা যাবে।

ওয়ার্ড ফাইলের নির্দিষ্ট শব্দ সিলেক্ট করে শিফট + এফ ৭ চেপে অভিধান থেকে ওই অর্থ জানা যাবে।

এফ ৮

মাইক্রোসফট এক্সেলে মাউস ধরে টেনে সেল সিলেক্ট না করে এই বাটনের সাহায্যেও সহজে এ কাজটি করা যায়। এফ ৮ চাপ দিয়ে মাউস নির্দিষ্ট কোনো ঘরে ক্লিক করলেই ওই সেল পর্যন্ত সবগুলো সেল সিলেক্ট হয়ে যাবে।

বুটিং এর সময় এফ ৮ চাপলে উইন্ডোজের সেফ মোড চালু হয়।

এফ ৯

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডকুমেন্ট রিফ্রেশ করে।

আউটলুকে ইমেল সেন্ড ও রিসিভ করে।

এফ ১০

কন্ট্রোল + এফ ১০ ওয়ার্ড ফাইল ম্যাক্সিমাইজ ও মিনিমাইজ করে।

শিফট + এফ ১০ দিয়ে রাইট মাউসের বাটনের কাজ করা যায়।

এফ ১১

ব্রাউজারের ফুল স্ক্রিন মোড চালু ও বন্ধ করা যায়।

শিফট + এফ ১১ দিয়ে এক্সেলে নতুন স্পেডশিট খোলা যায়।

এফ ১২

শিফট + এফ ১২ দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ডকুমেন্ট সেভ করা যায়।

কন্ট্রোল + এফ ১২ দিয়ে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট খোলা যায়।

কন্ট্রোল + শিফট + এফ ১২ দিয়ে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা যায়।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago