২০ লাখের মধ্যে ৪ হ্যাচব্যাক কার
বিশ্বের জনাকীর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম--যেখানে বেশিরভাগ সময় লেগে থাকে ট্রাফিক জ্যাম। যাতায়াত সুবিধার জন্য বাংলাদেশে সেডান কার পছন্দের শীর্ষে থাকলেও সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে হ্যাচব্যাক। বর্তমানে বাজারে ২০ লাখ টাকার মধ্যে ২০১৭-২০১৯ সিরিজের চমৎকার ডিজাইনের বেশ কয়েকটি হ্যাচব্যাক কার পাওয়া যাচ্ছে।
হ্যাচব্যাক একটি মোটামুটি জনপ্রিয় বডি টাইপ, যা দীর্ঘদিন ধরে সেডানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী। এতে ৩টি অথবা ৫টি দরজা থাকে এবং পেছনের দরজা উপরের দিকে খুলে যায় এবং অল্প পরিমাণে মালপত্র রাখার ব্যবস্থা আছে। তবে, সহজেই পিছনের সারির সিট সরিয়ে এই জায়গার পরিমাণ বাড়ানো যায়। এই গাড়িগুলো সাধারণত স্টেশন ওয়াগনের তুলনায় আকৃতিতে ছোট হয়।
এরকম কয়েকটি হ্যাচব্যাক কার নিয়ে এবারের আয়োজন।
হোন্ডা ফিট
মূল্য: ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকা (রিকন্ডিশন্ড)
হোন্ডা ফিট ঢাকা শহরের রাস্তার জন্য বেশ উপযুক্ত এবং ছোট আকৃতির গাড়ি। অন্যান্য গাড়ির তুলনায় হোন্ডা ফিট বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় পছন্দ না হলেও এটির ফর্ম ফ্যাক্টর এবং টর্ক থাকার কারণে ঘন ঘন ট্রাফিক সিগনালে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য হোন্ডা ফিট ভালো মানের গাড়ির তালিকায় স্থান পেয়েছে।
গাড়িটিতে ১৫০০সিসি ইঞ্জিনের পাশপাশি ডিফল্ট আকারে ফ্রন্ট হুইল ড্রাইভ (এফডব্লিউডি) ও অপশনাল অল হুইল ড্রাইভ (এডব্লিউডি) রয়েছে। এ ধরনের ফিচারের গাড়িগুলোর তালিকায় থাকা অন্যান্য গাড়ির তুলনায় হোন্ডা ফিট বেশ দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম। তাই মাত্র ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি হিসেবে হোন্ডা ফিট দামে ও ব্যবহারে বেশ উপযোগী বলা যায়।
টয়োটা অ্যাকুয়া
মূল্য: ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা
বরাবরের মতো ক্রেতাদের ভরসাস্থল হিসেবে খ্যাত টয়োটা নতুন ক্রেতাদের জন্য এবার নিয়ে এসেছে টয়োটা অ্যাকুয়া মডেল। ছোট আকৃতির হাইব্রিড গাড়িটিতে টর্ক থাকার পাশাপাশি রয়েছে জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষমতা। দক্ষ অ্যারোডাইনামিক্স সুবিধার কারণে এই গাড়িটি প্রতি লিটার জ্বালানিতে গড়ে ২৫ কিলোমিটার চলতে পারে। এতে বুলেটপ্রুফ ১এনজেড ইঞ্জিন ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি অপশন। এই তালিকায় থাকা অন্যান্য গাড়ির তুলনায় একটু ধীরগতির হলেও দামের দিক থেকে টয়োটা অ্যাকুয়া বেশ আকর্ষণীয়।
সুজুকি সুইফট
মূল্য: ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা
ছোট আকৃতির ও চমৎকার একটি গাড়ি সুজুকি সুইফট। প্রতি লিটার জ্বালানিতে গাড়িটি প্রায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন ও লেন অ্যাসিস্টের মতো বেশ কিছু নিরাপত্তামূলক সুবিধা রয়েছে এই গাড়িতে। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য আরএস এবং নরমাল ভ্যারিয়েন্ট ছাড়াও এই সিরিজে বেশ কয়েকটি মডেল রেখেছে সুজুকি। দুই ধরনের ভ্যারিয়েন্টেও ১.২ এল ৪-সিলিন্ডার ইঞ্জিনের পাশাপাশি পাওয়া যাবে একটি গেটেড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের সুবিধা, যা প্রায় বিরল। এ ধরনের গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মূল্যে পাওয়া যাবে সুজুকি সুইফট, যা ব্যবহারিক সুবিধার জন্য সেরা।
টয়োটা ভিটজ
মূল্য: ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা
ছোট হ্যাচব্যাক কার হিসেবে পরিচিত টয়োটা ভিটজের ১.০এল এবং ১.৫এল ভার্সনটি পাওয়া যাবে দেশের বিভিন্ন শোরুমে। টয়োটার অন্যান্য গাড়িগুলোর মতো জ্বালানি সাশ্রয় ও নির্ভরযোগ্যতা ছাড়া ভিটজ গাড়িতে তেমন কোনো বিশেষ সুবিধা নেই। তবে, দামের দিক বিবেচনা করলে অন্যান্য গাড়ির তুলনায় সাশ্রয়ী।
অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া
Comments