ইয়েমেনের আল মাসিরাহ টিভির বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, রাজধানী সানার দক্ষিণে অবস্থিত আল সাবিন জেলা লক্ষ্য করে তিন দফা মার্কিন ও ব্রিটিশ বিমান হামলা হয়েছে।
এবারই প্রথম হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নরথ্রপ বি-২ স্পিরিট মডেলের বিমান ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরান সমর্থিত সংগঠনটি গতকাল তেল আবিব ও ইলাতে ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানোর পর আজ ইসরায়েলি ভূখণ্ডের আরও ভেতরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার দাবি করেছে।
মধ্য ইসরায়েলে বাজানো হচ্ছে সতর্কতামূলক সাইরেন।
‘ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে জাহাজগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
এম/ভি এমএসসি স্কাই টু নামের জাহাজের উদ্দেশে দুইটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুতিরা, যার একটি জাহাজে আঘাত হেনেছে। ।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ১৮টি অবস্থানে আবারও যৌথ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
এই ক্ষেপণাস্ত্র দুইটির লক্ষ্য ছিল মালবাহী জাহাজ এমভি স্টার আইরিস। মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ও গ্রীক মালিকানাধীন এই জাহাজটি ব্রাজিল থেকে ভুট্টা পরিবহন করছিল
শনিবার হুতিদের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি গাজা তার প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও ওষুধ না পায়, তাহলে লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া সব জাহাজ, তা সে দেশেরই হোক না, আমাদের সশস্ত্র...
চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হুতিরা জড়িয়ে পড়ায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য বড় মাপের যুদ্ধের ঝুঁকিতে আছে উল্লেখ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ তেল-গ্যাস লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজে সরবরাহ করা...
গত ১০ বছরের ঘটনা প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, ইয়েমেনের ‘ঘরোয়া শক্তি’ থেকে ‘আঞ্চলিক মাথাব্যথা’ হয়ে ওঠা হুতিরা যেন গত ৭ অক্টোবরের পর ক্রমশ ‘আন্তর্জাতিক হুমকি’ হয়ে উঠছে।
কেন্দ্রীয় কমান্ডের বার্তায় বলা হয়, যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস টমাস হান্ডার সেই এলাকায় টহলের সময় ড্রোনগুলো ভূপাতিত করে। সেসময় জাহাজের কোনো ক্ষতি বা কোন ক্রু আহত হননি।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এটা তাদের তৃতীয় অভিযান এবং এ ধরনের আরও অভিযান চালানো হবে।