পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ‘সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা ও দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন’ দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়।
নতুন সংবিধান রচনা করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন আহমেদ আল-শারা।
টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেমে বড়দিনে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তিনি ব্যাখ্যা করেন কীভাবে এবং কেন তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
১৯৭৪ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে গোলানে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করে সিরিয়া ও ইসরায়েল। আসাদের পতনের পর সেই বাফার জোনও দখল করে নেয় ইসরায়েল।
হিজবুল্লাহ দীর্ঘদিন আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে গেছে। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধও করেছে তারা।
সিরিয়া থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আরব লিগের কূটনীতিকরাও এই অঞ্চলে গণঅভ্যুত্থানের আগুন ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্ক করেছেন।
বিদ্রোহীদের দাবি, ক্যাপটাগন উৎপাদন ও চোরাচালানের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদ ও রাজনীতিবিদ আমের খিতি জড়িত ছিলেন।
পড়তে পড়তে প্রায় সোজা হয়ে দাঁড়ানো বাশার আল আসাদকে এভাবে পালাতে হলো কেন¬—তা সাধারণ পাঠকের কাছে অনেকটাই ধোঁয়াশার। প্রায় ১৪ বছর লড়াই করে যিনি টিকে ছিলেন তিনিই কিনা মাত্র দুই সপ্তাহের যুদ্ধে কুপোকাত!
মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে ক্রেমলিনের একটি সূত্র রুশ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
আসাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে ইরান, রাশিয়া ও লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রভাব একরকম নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে।
সীমান্তে সিরিয়া অংশের ‘বাফার জোন’ দখলেরও ডাক দিয়েছেন তিনি।
তবে ইরানি কূটনীতিকরা হামলার আগেই দূতাবাস ছেড়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আসাদ বর্তমান অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বাশার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহীরা জানায়, তারা রাজধানী দামেস্কের দখল নিয়েছে। পতন হয়েছে সাবেক স্বৈরশাসকের।
বাশারের গন্তব্য এখনো জানা যায়নি।
দক্ষিণে দারা ও উত্তরে হামার পর গুরুত্বপূর্ণ হোমস শহর দখলের চেষ্টা করছে বিদ্রোহীরা।