তুরস্ক থেকে দেশে ফিরছেন সিরিয়ার শরণার্থীরা

ছবি: রয়টার্স

বাশার আল-আসাদের পতনের পর ‍তুরস্ক থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন সিরিয়ার শরণার্থীরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার জানিয়েছে, তুরস্কের সীমান্তে সিরীয় শরণার্থীদের দীর্ঘ সারি। প্রায় ১০০টি ট্রাক অপেক্ষা করছে।

সিরিয়ায় প্রবেশের জন্য তুরস্কের সিলভেগোজু সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন মুস্তফা। তিনি রয়টার্সকে জানান, স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে সিরিয়ায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

'এখানে আমাদের কেউ নেই, আমরা লাতাকিয়ায় ফিরে যাচ্ছি। সেখানে আমাদের পরিবার আছে,' বলেন মুস্তফা।

২০১২ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার এক বছর পর সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে তুরস্কে পালিয়ে এসেছিলেন মুস্তফা। তবে দেশ ছেড়ে এসে বছরের পর বছর ন্যূনতম মজুরির চেয়েও কম বেতনে কাজ করতে হয়েছে তাকে।

পরিবারের মালপত্র, ব্যাগভর্তি কাপড় ও একটি টেলিভিশনের দিকে নজর রাখতে রাখতে মুস্তফা আরও বলেন, 'এখন সিরিয়া ভালো হাতে আছে। আল্লাহ চাইলে সেখানে গিয়ে আমরা একটি ভালো জীবন পাব।'

২০১১ সালে আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় দেড় কোটি সিরীয় নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শুধু তুরস্কেই প্রায় ৩০ লাখ সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছেন।

চলতি বছরের শুরু থেকেই দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ জন সিরীয় শরণার্থী দেশের বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে ফেরত যাচ্ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে আবার আসাদবিরোধী বিদ্রোহ শুরু হলে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণে দাঁড়ায়। আসাদের পতনের পর সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে আঙ্কারা।

রোববার আসাদের পতনের পর সিরিয়া সীমান্তের বেশ কিছু গেট খুলে দিয়েছে তুরস্ক।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago