সিলেট ও যশোর জেলা এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।
নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না।
বুধবার দুপুর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ বার ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ও দ্রুত গ্যাস আমদানি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার মাঝরাতে দেশে সর্বোচ্চ ২,৩১২ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে
পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেন না।
‘দেশের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে যতটা জ্বালানি দরকার, সেই পরিমাণে সরকার কখনোই আমদানি করতে পারেনি।’
‘উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড, আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’
বিদ্যুৎ সেবা সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য ১৬৯৯৯ হট লাইন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, গ্যাস আমদানি করা সম্ভব না হওয়ায় নভেম্বরের আগে বাংলাদেশে চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতির কোনো উন্নতির আশা নেই।
সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে সারা দেশেই বেড়েছে লোডশেডিং। তবে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, লোডশেডিং কমেছে।
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিরাট অংশে যেদিন (৪ অক্টোবর) স্মরণকালের ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা গেল, সেদিনই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৯টি...
সেপ্টেম্বর নাগাদ লোডশেডিং কমিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। তবে, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় এখনো নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে।
সাভার চামড়া শিল্পনগরীর ট্যানারিগুলোতে গত এক সপ্তাহ হঠাৎ করে লোডশেডিং বেড়েছে জানিয়ে ট্যানারি মালিকেরা বলছেন এতে চরম সংকটে পড়েছেন তারা।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সপ্তাহের একেক দিন একেক শিল্পাঞ্চলে ছুটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিল্প উদ্যোক্তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছেন।
আগামী অক্টোবর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে, আর লোডশেডিং থাকবে না এমন প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশজুড়ে যখন ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং চলছে, রাজধানীর বনানীর রাস্তায় তখন সৌন্দর্যবর্ধনের আলো দেখা যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারের প্রতি লোডশেডিং বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।