‘উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড, আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’
বিদ্যুৎ সেবা সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য ১৬৯৯৯ হট লাইন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, লোডশেডিংয়ের মাত্রা এনএলডিসির দেখানো সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) রেকর্ডে দেখা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে, যা মঙ্গলবারে ছিল ১...
বরিশাল পাওয়ার গ্রিডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,‘ফুয়েল সংকটের কারণে কিছু উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
গত মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা শহরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৯৬ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ১৬০ মেগাওয়াট। বাকি ৩৬ মেগাওয়াটের লোডশেডিং ছিল শহরে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না বাড়ানো পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিপিডিবির কর্মকর্তারা।
পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
পিডিবি গ্রীষ্মকালীন ১৭,৮০০ মেগাওয়াট প্রাক্কলিত সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে দিনে ১৭,৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে
তিনি বলেন, 'বৃষ্টির অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। আমরা বারবার মিটিংয়ে বসে উপায় খুঁজে বের করছি এবং এই দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছি।'
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে আদানি পাওয়ারের ট্রান্সমিশন লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
২ কোটি মানুষের শহর রাজধানী ঢাকায় একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
‘ওই সময় আমি আমার এলাকায় মাইকিং করে মিটার দিয়েছি। তাই বাস্তবতা বুঝেই বলেছিলাম যে ফেরি করে বিদ্যুৎ দিতে হবে। অসত্য বলিনি। তখন বাস্তবতা তাই ছিল। সেটাকেই এখন ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলা হচ্ছে।'
সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে
সারাদেশে চলমান ঘনঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন যখন গরমে হাঁসফাঁস করছে, তখন এ পরিস্থিতিকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত' উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।
তবে হঠাৎ ডিজেলের বিক্রি বেড়ে গেলেও এ নিয়ে চিন্তিত নয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা।
আমি মনে করি, এটা খুব সাময়িক। এটা নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না, কোথাও কোথাও ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রামাঞ্চলের কিছু এলাকায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।