‘যেহেতু মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের একটা চমৎকার সম্পর্ক, সে জন্য চীন এখানে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে কি না এবং করলে আমরা উপকৃত হবো।’
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের মুখপাত্র কিয়াও জাও এ কথা বলেন।
আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি কিন্তু তবুও কিছু প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং আমরা এর জন্য কাজ করছি।
রোহিঙ্গাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারও চীনের কাছে কিছু দাবি উত্থাপন করে। সেগুলো হলো—রোহিঙ্গাদের নিজেদের গ্রামে নিয়ে যেতে হবে এবং প্রত্যাবাসন হতে হবে পরিবারের সব সদস্যদের একসঙ্গে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত আছে এবং তা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাজ করে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের কাছে দ্রুত নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।
‘১৪ সদস্যের মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করছে।’
রোহিঙ্গাদের আদি নিবাস রাখাইনে মোখার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতেই অনিশ্চিত হয়ে গেছে কবে শুরু হবে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘ হলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
মানবিক কারণে লাখো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার পর থেকেই যে আলোচনাটি সবচেয়ে বেশি সামনে এসেছে তা হলো, মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন।
গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার ও নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবিতে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও মিছিল করেছে রোহিঙ্গারা।
এ বছরের শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী বলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন।