গতকাল আগারগাঁও-মতিঝিল সেকশনে ১১ ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল
রাত ৮টা ২৫ মিনিট থেকে পুনরায় এই অংশে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সেক্রেটারি খোন্দকার এহতেশামুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ কারণে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
শত শত যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে যান। সবাই ছুটতে থাকেন বিকল্প পরিবহনের খোঁজে। কিন্তু বেশিরভাগকেই হতাশ হতে হয়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয়েছে বলে মেট্রোরেল কর্মীদের মাইকিং করতে দেখা গেছে।
আজ পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ সূচিতে চালুর পর থেকে এতদিন শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন মেট্রোরেল চলছে।
নিয়মিত যাত্রীদের মেট্রোরেল ব্যবহারে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন অতি দ্রুত সংস্কার করা হবে এবং এ ব্যাপারে জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে।’
রুটটি গাবতলী থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদ গেট, রাসেল স্কয়ার, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, তেজগাঁও ও আফতাবনগর হয়ে দাশেরকান্দিতে শেষ হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, তিনটি স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে পরিষেবা লাইন স্থানান্তর করা হবে। এটি শেষ হতে তিন মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
সংরক্ষিত এই কোচ শুধু উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলকারী নারীদের নিরাপত্তাই দিচ্ছে না, বরং আরও বেশি নারী যাত্রীকে এই সেবা নিতে উৎসাহিত করছে।
‘বিদ্যুৎ লাইন থেকে ক্যাবলটি সরানোর পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
মেট্রোরেল উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।
মেট্রো লাইন ও সড়ক সম্প্রসারণ নিয়ে যা জানালেন সেতুমন্ত্রী
কারওয়ান বাজার স্টেশন চালু হলেও উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য বড় আড়ত থেকে বাজার করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া সহজ হলো না।
খুলে দেওয়া হয়েছে কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশন
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা এবং ট্রেন, বাসে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বাকি দুটি স্টেশন--কারওয়ান বাজার এবং শাহবাগ জানুয়ারিতে চালু করা হবে বলে গত ৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।