‘বর্তমান সরকার নির্বাচন দেবে না এমন কোনো শঙ্কা নেই, অনেক বিলম্বও করবে না’
তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে।
তিনি বলেন, জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য।
‘সংসদকে কার্যকর করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও চর্চা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয়, গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখনো ঐক্যবদ্ধ আছেন এবং থাকবেন।
‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।’
‘অতি দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা প্রয়োজন। একমাত্র সেটাই সব সংকট নিরসন করতে পারে।’
‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার মূল হোতা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার মূলনায়ক বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে।’
‘আমরা কোনো বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি বিশ্বাস করি না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, অতীতের সব জঞ্জাল পরিষ্কার করে সত্যিকারার্থে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে সেটাকে দূর করতে অবশ্যই কিছু সময় দরকার।
তিনি বলেন, আমরা চাই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হোক।
রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—এই ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর কেউই এখানে সংখ্যালঘু নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকারের সব বিষয়গুলোতে সমর্থন দিচ্ছি।
তিনি বলেন, সমগ্র দেশ আজ রাষ্ট্রঘাতী-প্রাণঘাতী স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এদেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ।
দেশব্যাপী নিরীহ ছাত্র-জনতা এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।