‘বর্তমান সরকার নির্বাচন দেবে না এমন কোনো শঙ্কা নেই, অনেক বিলম্বও করবে না’
তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে।
তিনি বলেন, জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য।
‘সংসদকে কার্যকর করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও চর্চা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয়, গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখনো ঐক্যবদ্ধ আছেন এবং থাকবেন।
‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।’
‘অতি দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা প্রয়োজন। একমাত্র সেটাই সব সংকট নিরসন করতে পারে।’
‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার মূল হোতা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার মূলনায়ক বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে।’
‘আমরা কোনো বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি বিশ্বাস করি না।’
‘সরকার যতই ছলচাতুরি করুক না কেন গণদাবির কাছে পদত্যাগ করতেই হবে।’
নিজেদের সন্ত্রাস ও ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার বিরোধী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
‘কোটা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডামি আওয়ামী সরকার ক্রমাগত প্রতারণা করে যাচ্ছে।’
‘একটা ঋণ নিয়ে আরেক ঋণ শোধ, এটা কারা করে? দেখবেন যারা সব জায়গাতে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো চালাতে পারছে না, তাদেরকে কিন্তু এই কাজটা করতে হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা...
‘নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর জখমসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হলো—আওয়ামী অবৈধ শাসন নিয়ে কেউ যেন প্রতিবাদ করতে সাহস না পায়।'
সরকার অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে নির্ভরশীল করে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘যদি দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে পারি, আমরা গণতন্ত্রকেও মুক্ত করতে পারব।’
‘আমরা আশা করি, দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে আপামর জনসাধারণ একাত্ম হবেন।’