আজ শুক্রবার সকালে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর জাপানে সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টার এক বক্তব্যের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘যে শাহবাগ আপনারা বন্ধ করেছেন, এখানে মিছিল-মিটিং করা যাবে না, সেখানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের দল এনসিপির লোকেরা মিছিল মিটিং করে কীভাবে?’
‘আওয়ামী লীগকে যারা দেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়, ৭১ এর স্বাধীনতায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ এর বিরুদ্ধে কেন গণমাধ্যম লিখছে না—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, একটা উসিলা ধরে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন ব্যাহতের চেষ্টা করছেন, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচন বানচাল করতে না পারে।
‘এক-এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চাইতে কেউ বেশি ভোগ করে নাই।’
‘আমাদের কষ্টের টাকা, মাথার ঘাম পায়ে ফেলা টাকা, ট্যাক্সের টাকা—লুট করে আপনার বিদেশে থাকা ছেলেদের দামি দামি গাড়ি কিনে দেবেন। এনবিআর সদস্য মতিউরের ছেলে বিদেশের দামি গাড়ি চালাবে, দামি ফ্ল্যাটে থাকবে,...
তিনি বলেছেন, বিএনপির সব নেতাকর্মীদের এখনো ইনডাইরেক্টলি বন্দি করে রাখা হয়েছে।
‘প্রিয় ভাইরা, অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হবে। যদি বলেন কতদিন সহ্য করতে হবে? এটা বলা সম্ভব না। তবে সহ্য করতে হবে।’
গত বছরের ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শহীদবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরসহ ৩ মামলায় জামিন হয়নি
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
তবে জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর।
বিবাদীপক্ষ চাইলে আগামী ২৬ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবেন বলে জানান বিচারক।
সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী আদালতকে আরও বলেন, তিনি আজ পায়ে হেঁটে আদালতে হাজির হতে পেরেছেন। কিন্তু কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন না দিলে পরবর্তী তারিখে তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করতে হতে পারে।