গত বছর গ্রেপ্তারের পর আমাকে ও মির্জা ফখরুলকে কনডেম সেলে রাখা হয়: মির্জা আব্বাস
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/11/05/captureft3t3.jpg?itok=ufoYqrjQ×tamp=1699184248)
২০০৭ সালের দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে পল্টন থানায় দায়ের আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল।
তার আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী জানান, ২০০৭ সালের দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার সময় আজ বুধবার তিনি আদালতকে এ কথা বলেন।
আদালতে হাজির করার পর বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী আদালতকে আরও বলেন, তিনি আজ পায়ে হেঁটে আদালতে হাজির হতে পেরেছেন। কিন্তু কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন না দিলে পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করতে হতে পারে।
গত ৩০ অক্টোবর বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদালত অবশ্য যুক্তিতর্কের জন্য তার আগের আদেশ প্রত্যাহার করে নেন এবং মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
আদালতে মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, গত বছরের ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের মামলায় ফখরুলের সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের আদেশের পর তাদের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় এবং কনডেম সেলে রাখা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২৩ লাখ টাকার সম্পদবিবরণী গোপনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দেয়। আদালত মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৬ জুন অভিযোগ গঠন করেন।
Comments