গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ আবার শুরুর ঘোষণা দেন, যা পেন্টাগনের সিদ্ধান্তে কিছুদিন আগে স্থগিত হয়।
বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মহলে ব্রাত্য হয়ে পড়া আফগানিস্তানের জন্য রাশিয়ার এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ের এই ফোনালাপে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েল-ইরান সংকট ও সমাধান বিষয়ে কথা বলেন দুই নেতা।
রাশিয়া কীভাবে ইরানের পাশে দাঁড়াতে পারে, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
‘ক্রেমলিন ইরানের জনগণকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল “রেড লাইন” অতিক্রম করে ফেলেছে।
দুই নেতা এই সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রস্তুত।
রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে প্রধান অভিযোগ হলো, ‘ইংরেজি শেখানোর অযুহাতে’ যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রচারণা চালানো।
ক্রেমলিন প্রেস সার্ভিস জানায়, উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
পুতিন জানান, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করে ট্রাম্প এটাই প্রমাণ করেছেন যে তিনি শান্তি চান।
কারাসিন বলেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই আলোচনায় যুক্ত করব। সর্বোপরি, জাতিসংঘ ও সুনির্দিষ্ট কিছু দেশ এতে যুক্ত হবে।’
রিয়াদের রিৎজ-কার্লটন হোটেলে বৈঠকের আয়োজন করেছে সৌদি মধ্যস্থতাকারীরা।
জেলেনস্কি জানান, ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যে আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে মতৈক্য হয়েছে, তার ফলে দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দর ও রেল পরিষেবার ওপর হামলা বন্ধ হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওভাল অফিসে বসে পুতিনের সঙ্গে কথা বলছেন।
ট্রাম্প জানান, যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে ‘কিছু সুনির্দিষ্ট সম্পদ ভাগাভাগি করে নেওয়ার’ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইতিবাচক বলে তারা মনে করছেন।
রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ওই হোটেলের পাশাপাশি ১৪টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন, একটি ডাকঘর, প্রায় দুই ডজন গাড়ি, একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ১২টি দোকান ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে জেলেনস্কির কাছ থেকে পাওয়া চিঠি পড়ে শোনান ট্রাম্প।