গতকাল রোববার র্যাব সদরদপ্তর থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়। আজ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে সুরাইয়ার মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ভৈরবের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান সবুজ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ ভোর সোয়া ৪টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়া এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
‘প্রচণ্ড ব্যথায় চিৎকার করছিলাম। ভাবছিলাম কখন আমারে হাসপাতালে নেবে।’
নিহতদের স্বজনরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার জসিম উদ্দিন জানান, ভৈরবে দুর্ঘটনার কারণে ঢাকাগামী বিভিন্ন ট্রেন একাধিক স্থানে আটকা পড়েছে।
এগারসিন্দুর গোধুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে হীরার সঙ্গে তার স্বামী ও দুই বছরের ছেলে থাকলেও তারা প্রাণে বেঁচে গেছেন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সৌর বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জন মারা গেছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।