টানা তৃতীয় দিনের মতো শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান অব্যাহত আছে।
এদিকে আজ বুধবার বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদ বিএসইসিতে যাবেন। তখন তার সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা নীতি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
এনসিসি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে এবং কমিশনের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে এবং ফ্লোর প্রাইসসহ বাজারে হস্তক্ষেপ করা যায় এমন কোনো ব্যবস্থা পুনরায় আরোপ করা হবে না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা
খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১১ ও ২০১২ সালে জোর করে শেয়ার বিক্রি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ফলে শেষ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
এর আগে ২০০৮ সালে শেয়ারের দাম কারসাজির দায়ে এবি ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং উইংকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ সরকার পতনের পর পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে, ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
‘বড় মূলধনের ব্লু-চিপ কোম্পানিগুলোর আয় আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী ভয় পেয়ে গেছেন।’
সকাল সাড়ে ১১টায় দেখা যায়—শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭৩ প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১৭১ প্রতিষ্ঠানের ও অপরিবর্তিত থেকেছে ৪২ প্রতিষ্ঠানের। সেসময় লেনদেন হয় ৪৬৬ কোটি টাকা।
ফলে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪৯টি ফার্ম ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে এখন ১২টি কোম্পানির জন্য ফ্লোর প্রাইস প্রযোজ্য হবে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, ফ্লোর পাইস তুলে নেওয়া হলেও তা কেবল ৩৫টি কোম্পানির জন্য বহাল থাকবে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ এসব প্রতিষ্ঠানের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে গেলে এই তথ্য উঠে আসে।
আসলেই কি আমাদের পুঁজিবাজার কোনো ‘গুপ্তধন’? আর এই যে, মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে এটি ‘আকর্ষণহীন’ হয়ে পড়লো তা কি শুধুই ফ্লোর প্রাইসের কারণে? পুঁজিবাজারে যে আস্থার সংকট তা কি নতুন কিছু?
বাংলাদেশের ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজার সব ক্ষেত্রেই মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুশাসনের অভাব ও অনিয়ম করে পার পেয়ে যাওয়ার কারণেই আর্থিক খাতে আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিধিমালা অনুযায়ী, মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক আর্থিক বিবরণী অর্থবছর শেষ হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে অডিট করতে হয়।
উভয় পক্ষই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এর প্রতিকার চেয়ে চিঠি লিখেছে।