না হলে গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে মনে করছে বিএনপি।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদার হত্যায় ‘জামায়াত নেতার’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে আওয়ামী দোসররা মরণকামড় দিয়ে ইন্টেরিম গভর্নমেন্টকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব...
নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হওয়ার পর অনেকের মাথা বিগড়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
গত ১১ মাসে ৩২৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো জড়িত ছিল এবং এসব ঘটনায় অন্তত ৭৭ জন নিহত ও ৩৬৫৩ জন বিএনপি কর্মী আহত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি মহাসচিবের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার ঘটনায় হত্যাকারীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না—প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নির্বাচনের সময়সূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সবাই ধরেই নিয়েছে ডিসেম্বর নির্বাচন হচ্ছে। এর পরে যাওয়ার সুযোগ নাই।
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় স্থানীয় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ বিএনপি কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের চুক্তি নবায়ন।
‘নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ব্যক্তি স্বাধীনতা, ন্যায়বিচারের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকব।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।
নির্বাচন যাতে বিলম্বে হয়, এ জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
‘যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তবে দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের একই কথা বলেছি আমরা। সংস্কার তো অবশ্যই করতে হবে… কিন্তু সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায়।’