আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিচালক আখতার হোসেন এ তথ্য জানান।
৩৬৮ কোটি টাকা মূল্যের এসব জমি ও সম্পত্তি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে।
আবেদনে বলা হয়, এস আলম, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চট্টগ্রাম ও ঢাকার গুলশানে ভবন ও প্লট নির্মাণ করেছেন এবং কিনেছেন যার বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকা।
এর আগে, ভুয়া কাগজ দিয়ে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলমের ছেলে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছিল দুদক।
গ্রুপের উপব্যবস্থাপক আশীষ কুমার নাথ দ্য ডেইলি স্টারকে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের এসব কোম্পানির যে অর্থ রয়েছে তা যেকোনো সময় স্থানান্তর করা সম্ভব। এই কারণে, ব্যাংক...
ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা করপোরেশন শাখায় প্রতিষ্ঠানটির পাওনা এক হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। বকেয়া আদায়ে দুই হাজার ৯৭১ শতাংশ জমি নিলাম করছে ব্যাংকটি।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থা অস্পষ্ট ছিল। গত ৫ আগস্ট তার পতনের পর ব্যাংক খাতের আসল চিত্র বের হতে শুরু করে।
এসব ঋণ চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৪টি শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানতে পেরেছে, আগস্টে বোর্ড পুনর্গঠনের পরও ব্যাংক থেকে টাকা তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অভিযোগ করেন, এসআলম গ্রুপ ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে এবং ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাময়িক বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এ কর্মরত ছিলেন।
বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের জন্য লকার সুবিধাও জব্দের নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে চিনিকলগুলোর চুক্তি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত জুলাইয়ে সই করা চুক্তিটিতে চিনির উৎপাদন বাড়াতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়টি ছিল।
আগামী রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী শাহীন আহমেদকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউয়ের কাছে এস আলম গ্রুপ ও এর মালিকদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) করেছিলেন আইনজীবী রুকুনুজ্জামান।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও আর্থিক গোয়েন্দা শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানকে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।