ইপিবির তথ্য অনুসারে, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ওষুধ রপ্তানি কমেছে ২২ দশমিক ছয় শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়—গত ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
অক্টোবরে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়ে ৩২৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ইপিবির কর্মকর্তারা তথ্য প্রকাশ আর বন্ধ হবে না দাবি করে জানান, ভবিষ্যতে রাজস্ব বোর্ড ও ইপিবির তথ্যে অসামঞ্জস্যতা থাকবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, পণ্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার ও সেবার ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে।
সাধারণত ইপিবি কোনো মাসের রপ্তানি তথ্য পরবর্তী মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে প্রকাশ করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করতে হবে কেন ও কীভাবে বছরের পর বছর ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং দেশব্যাপী এর প্রভাব কী ছিল।
তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত ও নীতিগুলো প্রমাণ-ভিত্তিক করতে চায় সরকার। এজন্য বিশ্ববাজারে বিক্রির রিয়েল-টাইম তথ্য প্রকাশে একটি প্ল্যাটফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইপিবি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের মধ্যে সহযোগিতার ঘাটতিকেও তথ্যগত অসামঞ্জস্যতার জন্য দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
এবারের মেলায় ৩০৪ স্টল ও প্যাভিলিয়নের মধ্যে নয়টি ছিল ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর।
তবে জানুয়ারির রপ্তানি মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ কম।
পশ্চিমের খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর দোকানে পোশাক মজুত থাকায় ও ক্রেতারা উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোগায় গত বছর পোশাক রপ্তানি কম হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চালানের পরিমাণের তথ্যে ব্যবধান ছিল ১২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার, যা অন্তত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় এসেছে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো রাশিয়ার খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে থাকায় বিকল্প পথে রপ্তানি বন্ধ হয়নি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে মসলা রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ১১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
গত বছরের আগস্টে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তার আগের বছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেড়েছিল, যা এবার হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
গত অর্থবছরে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬৭৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, সারাবিশ্বে হ্যাট-ক্যাপের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে।