রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, এই সফরে পুতিনের সঙ্গে শি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন। এই বৈঠকে ‘অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়ন’ ও ‘আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে...
বর্তমানে চীন বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি বিরল খনিজ প্রক্রিয়াজাত করে। পশ্চিমা প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্প এই কাঁচামালের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
ট্রাম্পের দাবি, ওয়াশিংটন-কিয়েভের খনিজ সম্পদ চুক্তি সই ইউক্রেনের জন্য মঙ্গলজনক পদক্ষেপ এবং এর মাধ্যমেই দেশটি নিরাপদ থাকবে।
তবে কিয়েভ প্রশ্ন তুলেছে, কূটনীতির পথ প্রশস্ত করতে অন্তত ৩০ দিনের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানে পুতিন কেন রাজি হচ্ছেন না?
সেখানে তারা ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা আবার শুরুর ব্যাপারে কথা বলেছেন।
তদন্তকারীরা বলছেন, এর আগে ইউক্রেনের হামলাগুলোর সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের জরুরি সেবাদাতা সংস্থা সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানায়, ‘রাশিয়া কিয়েভের বিরুদ্ধে বড় আকারের সমন্বিত হামলা শুরু করেছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, রুশ হামলা আবারও শুরু হওয়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিগগির যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ট্রাম্প ও তার বিলিয়নিয়ার মিত্র ইলন মাস্ক দুই লাখের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন।
মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে জেলেনস্কির কাছ থেকে পাওয়া চিঠি পড়ে শোনান ট্রাম্প।
তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সহায়তার অনুমোদন দেন। সে সময় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন জুগিয়ে যাবে’।
গত শুক্রবার এই চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডায় ভেস্তে যায় সেই উদ্যোগ।
ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখন অনেকের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ, বিশেষত, ইউরোপে এবং মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে।
ইউক্রেনে শান্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ এক জরুরি সম্মেলনে পশ্চিমা নেতাদের লন্ডনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্টারমার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই স্যুট-টাই ও ফুল হাতা শার্ট পরে বৈঠকে যাওয়া বাদ দিয়েছেন জেলেনস্কি।
তিনি জেলেনস্কিকে ‘অত্যন্ত সাহসী’ বলেও অভিহিত করেন।
ট্রাম্প জানান, এই চুক্তির মূল্যমান এক ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে এবং তিনি নিশ্চিত করবেন, মার্কিন করদাতারা ‘তাদের টাকা তো ফিরে পাবেনই, সঙ্গে বাড়তি কিছুও পাবেন।’
দখলকৃত অঞ্চলে লিথিয়ামসহ অন্যান্য মূল্যবান খনিজের বিশাল মজুদ রয়েছে।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে এই যুদ্ধের কোনো সমাধান সম্ভব না।