সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনের পর আজই প্রথমবারের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
জনগণের জানমাল রক্ষা করা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি জানি যে, খালেদা জিয়ার হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য পেসমেকার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। তাকে বিদেশে নেওয়ার কোনো আবেদন পাইনি।’
‘ড. ইউনূসের ব্যাপারে ওনাদের দেশ থেকে অনেক প্রশ্ন আসছে। এ জন্য তারা ব্যাপারটা নিয়ে পরিষ্কার হতে চাচ্ছিলেন।’
‘অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে কর কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ নিয়ে আদালতে যায়নি। বরং, প্রফেসর ইউনূসই একটি আইনি সমস্যা সমাধানের জন্য আদালতে গিয়েছিলেন।’
শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, '২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যখন বিএনপি সরকার বাংলাদেশ শাসন করেছে তখন তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল-বদর নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে এদেশের জনগণকে শোষণ করতো, শাসন করতো এবং...
‘ট্রেনে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, মানুষ মারা—এগুলো বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।’
নির্বাচনের পরে দেশে কোনো কূটনৈতিক সংকট নেই বা সংকটের কোনো সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
‘আগামীকাল শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কী হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের এখনকার কার্যকলাপে বোঝা যাচ্ছে নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রমে সরকার হস্তক্ষেপ করছে না। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।
‘অপরাধজনিত সংশ্লিষ্টতার কারণে বিএনপি নেতাদের ধরা হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটকে লাথি মারা হয়েছে। এটা আমি মনে করি সমস্ত বিচার বিভাগকে লাথি মারা হয়েছে।'
‘রাতের অন্ধকারে কোর্ট (আদালত) বসে, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'মির্জা ফখরুলকে আমি অনেক ভালো জানতাম। কিন্তু জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি অনেক কথা বলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা করে দেখান।’
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ...
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার আইনি প্রয়োজন আছে। কারণ পুলিশের কাজ হলো- যদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটা বন্ধ করা, অপরাধ সংঘটিত হলে...