স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রেতাত্মারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আইনমন্ত্রী

জনগণের জানমাল রক্ষা করা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আইনমন্ত্রী
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: স্টার

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিরোধিতা করেছিল এবং যারা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ হত্যা করেছিল, সেই প্রেতাত্মারা আজকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কিছুটা হলেও ষড়যন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত আছে, এটি অস্বীকার করতে পারবো না।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'এটা আপনারাও বুঝতেছেন আমরাও বুঝতেছি, কিন্তু আমার বিশ্বাস যারা নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা যারা কোটার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে এবং এর প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, সেই আদেশ মেনে তারা ঘরে ফিরে যাবেন। আমি বিশ্বাস করি আন্দোলনকারীরা জনগণের অসুবিধা হোক, জনগণ দু:খ-কষ্ট ভোগ করুক—সেগুলো পরিহার করে তাদের ব্যবস্থা নিবে। আমার মনে হয় তারা ঘরে ফিরে যাবে।'

জনগণের জানমাল রক্ষা করা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।'

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নবনির্মিত বাসভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন তিনি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ আরও অনেকে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

পরে আইনমন্ত্রী সড়ক পথে তার নিজ উপজেলা কসবায় রওনা হন।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago