মার্শের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের
ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদানে মিলল ৩০৬ রানের পুঁজি। কিন্তু ব্যাটিংয়ের জন্য উপযোগী পিচে বাংলাদেশের বোলাররা রইলেন একেবারে নির্বিষ ও ম্লান। তাদের ওপর চড়াও হয়ে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকার তাণ্ডবের জবাব খুঁজে না পেয়ে হার দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ।
শনিবার পুনেতে এবারের আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে অজিদের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। মার্শ খেলেন অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস। ১৩২ বল মোকাবিলায় তিনি হাঁকান ১৭ চার ও ৯ ছক্কা। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৭৫ রান যোগ করেন তিনি। স্মিথের ৬৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বিশ্বকাপের মঞ্চে লক্ষ্য তাড়ায় রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া। আগে কখনোই তিনশর বেশি রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল না তাদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসে ২৯২ রান তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের সর্বোচ্চ।
সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য থাকলেও নয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতে এবারের আসর শেষ করল বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় বাদে বাকি সবকটিতে হারল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৪.৪ ওভারে ৩০৭/২ (হেড ১০, ওয়ার্নার ৫৩, মার্শ ১৭৭*, স্মিথ ৬৩*; তাসকিন ১/৬১, শেখ মেহেদী ০/৩৮, নাসুম ০/৮৫, মিরাজ ০/৪৭, মোস্তাফিজ ১/৭৬)।
ফিফটি পেলেন স্মিথ
এবারের বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন স্টিভেন স্মিথ। সেজন্য তার লাগল ৫৫ বল। অন্যপ্রান্তে মিচেল মার্শ তাণ্ডব চালাতে থাকায় স্মিথের আক্রমণাত্মক হওয়ার চাহিদা নেই। দেখেশুনে খেলতে পারছেন তিনি।
৪১ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৭০ রান। মার্শ ১১৯ বলে ১৫৪ রানে ব্যাট করছেন। স্মিথ খেলছেন ৫৫ বলে ৫০ রানে। বাকি ৫৪ বলে জয়ের জন্য আর মাত্র ৩৭ রান চাই অজিদের।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মার্শের দেড়শ
থামার কোনো লক্ষণ নেই মিচেল মার্শের। তার আগ্রাসনের কোনো জবাবই দিতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। মোস্তাফিজুর রহমানকে টানা দুটি চার মেরে ব্যক্তিগত দেড়শ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ডানহাতি ব্যাটার।
ডিপ মিডউইকেট দিয়ে প্রথম চারটি মারার পর মার্শ পরের চারটি মারলেন স্কয়ার লেগ দিয়ে। এতে তিনি পৌঁছে গেলেন ১৪৪ থেকে ১৫২ রানে। দেড়শ রানের ইনিংস পূর্ণ করতে তার লাগল মাত্র ১১৭ বল। তার ইনিংসে চার ১৬টি ও ছক্কা ৭টি।
৪০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ২ উইকেটে ২৬৪ রান। দ্রুত জয়ের লক্ষ্য মিলিয়ে ফেলার ঢঙে থাকা মার্শের সঙ্গে স্টিভেন স্মিথ খেলছেন ৫১ বলে ৪৬ রানে।
মার্শ-স্মিথের জুটিতেও শতরান
ডেভিড ওয়ার্নারের পর স্টিভেন স্মিথের সঙ্গেও শতরানের জুটি গড়লেন মিচেল মার্শ। স্রেফ ৮৪ বলে তাদের জুটি একশ স্পর্শ করল। অস্ট্রেলিয়ার টানা দুটি শতরানের জুটিতে আরেকটি হারের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
৩৭ ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৪০ রান। মার্শ ১০৩ বলে ১৩০ রানে খেলছেন। তার সঙ্গে স্টিভেন স্মিথ ক্রিজে আছেন ৪৭ বলে ৪৪ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার দুইশ
১৫তম ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। এরপর তারা দলীয় দ্বিশতক স্পর্শ করল ৩২তম ওভারে। প্রথম একশ দলটি করেছিল ৯০ বলে, পরের একশ করল ঠিক ১০০ বলে।
৩২ ওভার শেষে অজিদের রান ২ উইকেটে ২০২। কিছুক্ষণ আগে সেঞ্চুরি হাঁকানো মিচেল মার্শ ৯১ বলে ১০৮ রানে ক্রিজে আছেন। স্টিভেন স্মিথ ব্যাট করছেন ২৯ বলে ২৯ রানে।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চাই আরও ১০৫ রান। বাকি আছে ১৮ ওভার। তাদের হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার দিকেই জয়ের পাল্লা ভারী। আর লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারলে বিশ্বকাপে নিজেদের সফল রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়বে অজিরা। বিশ্বমঞ্চে কখনোই তিনশ বা এর চেয়ে বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটে জিততে পারেনি তারা।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মার্শের সেঞ্চুরি
নাসুম আহমেদের বল লংঅনে পাঠিয়ে সিঙ্গেল নিলেন মিচেল মার্শ। তাতে সেঞ্চুরি পূরণ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা অলরাউন্ডারের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে তার লাগল ৮৭ বল। তার ইনিংসে চার ১১টি ও ছক্কা ৪টি।
এবারের বিশ্বকাপে মার্শের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা বেড়ে হলো তিনটি।
৩১ ওভার শেষে অজিদের রান ২ উইকেটে ১৯২। ক্রিজে আছেন মার্শ ৮৭ বলে ১০০ রানে। তার সঙ্গে স্টিভেন স্মিথ খেলছেন ২৭ বলে ২৭ রানে।
ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ
অবশেষে ভাঙল অস্ট্রেলিয়ার ১১৬ বলে ১২০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। সেই তৃতীয় ওভারের পর আবার ২৩তম ওভারে এসে উইকেটের উল্লাস করতে পারল বাংলাদেশ। আক্রমণে ফিরেই ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি এই পেসারের বলে টাইমিং করতে পারলেন না ওয়ার্নার। সহজ ক্যাচ উঠল মিডঅনে। অনায়াসে তা লুফে নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও উদযাপনের জন্য ছোঁড়ার সময় আগেই তার হাত থেকে বল পড়ে গেল। তবে যথেষ্ট সময় ক্যাচ তালুবন্দি রাখায় সাজঘরে ফিরতে হলো বাঁহাতি অজি ওপেনারকে।
৬১ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করে আউট হলেন ওয়ার্নার। ২৩ ওভার শেষে অজিদের রান ২ উইকেটে ১৩৯। ক্রিজে আছেন মিচেল মার্শ ৬৩ বলে ৭৩ ও স্টিভেন স্মিথ ৩ বলে ২ রানে।
জুটির একশ, ওয়ার্নারের হাফসেঞ্চুরি
বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে কভার ড্রাইভে চার মেরে জুটির শতরান পূর্ণ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তার সঙ্গে মিচেল মার্শের দ্বিতীয় উইকেট জুটি তিন অঙ্কে পৌঁছাল ৯২ বলে। এরপর নাসুমের ওই ওভারের শেষ বলে রিভার্স সুইপে ফের চার মেরে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করলেন ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত মাইলফলকে যেতে তার লাগল ৫২ রান।
১৯ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২২ রান। ৫২ বলে ৫১ রানে খেলছেন ওপেনার ওয়ার্নার। তিনে নামা মার্শ ব্যাট করছেন ৫১ বলে ৬০ রানে।
মার্শের আগ্রাসী ফিফটি
আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলছেন মিচেল মার্শ। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর তোপ দাগিয়ে তিনি ৩৭ বলে পূরণ করলেন হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেটের পতনের পর ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মার্শ। তাদেরকে ভোগাতে পারছেন কোনো টাইগার বোলারই। ফলে অস্ট্রেলিয়া পেয়ে গেছে লক্ষ্য তাড়ার শক্ত ভিত।
১৫ ওভার শেষে অজিদের রান ১ উইকেটে ১০০। ওয়ার্নার ৪১ বলে ৩৮ ও মার্শ ৩৮ বলে ৫১ রানে ক্রিজে আছেন।
ওয়ার্নার-মার্শের জুটিতে পঞ্চাশ
তাসকিন আহমেদের বলে ট্রাভিস হেড বোল্ড হওয়ার পর জুটি বেঁধেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। তাদের বিপরীতে সুবিধা করতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। এই দুজনের কল্যাণে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ছুটছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৮ রান। এরপর একাদশ ওভারে ওয়ার্নার-মার্শের জুটির রান স্পর্শ করে পঞ্চাশ, ৪৮ বলে। জুটিতে অগ্রণী ভূমিকায় আছেন তিনে নামা মার্শ। একের পর এক বাউন্ডারি মারছেন তিনি।
১১ ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৪ রান। বাঁহাতি ওয়ার্নার ৩১ বলে ২১ ও ডানহাতি মার্শ ২৪ বলে ৩২ রানে ক্রিজে আছেন।
শুরুতেই হেডকে বোল্ড করলেন তাসকিন
ব্যাটারদের কল্যাণে তিনশ ছাড়ানো পুঁজির পর বোলারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। আর তৃতীয় ওভারেই দলকে সাফল্য পাইয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ। এই ডানহাতি পেসারের ব্যাক অব দ্য লেংথ ডেলিভারি হাঁকানোর চেষ্টায় ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে গেলেন ট্রাভিস হেড।
নতুন বলে এবারের বিশ্বকাপে একদমই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে কম উইকেট তাদেরই। তবে এদিন তাসকিনের কল্যাণে শুরুতেই মিলল উইকেট।
৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২ রান। ১১ বলে ২ চারে বাঁহাতি ওপেনার হেডের রান ১০। ক্রিজে আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গী মাত্রই নামা মিচেল মার্শ।
শেষ ম্যাচে আসরের সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশের
আসর জুড়েই ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। দল হিসেবে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জ্বলে উঠলেন ব্যাটাররা। সম্মিলিত চেষ্টায় ৩০৬ রানের পুঁজি গড়ল বাংলাদেশ। এটি এবারের বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ স্কোর।
এদিন সব ব্যাটারই সেট হয়েছিলেন বাংলাদেশের। প্রথম সাতজনের সবাই দুই অঙ্কে পৌঁছালেও সে অর্থে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। তারপরও অবশ্য তিনশর বেশি রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এত রান তাড়া করে জেতার নজির নেই অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্ব আসরে কখনোই তারা তিনশর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিততে পারেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ২৯২ রান তাড়া করে সফল হওয়াই তাদের সর্বোচ্চ। অর্থাৎ ওই ম্যাচকে ছাড়িয়ে এদিন নতুন রেকর্ড গড়তে হবে অজিদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৮ (তানজিদ ৩৬, লিটন ৩৬, শান্ত ৪৫, হৃদয় ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মুশফিক ২১, মিরাজ ২৯, নাসুম ৭, মেহেদী ২*, তাসকিন ০*; হ্যাজলউড ০/২১, কামিন্স ০/৫৬, অ্যাবট ২/৬১, মার্শ ০/৪৮, জ্যাম্পা ২/৩২, হেড ০/৩৩, স্টয়নিস ১/৪৫)।
শেষ ওভারে দুই উইকেট হারালো বাংলাদেশ
শেন অ্যাবটের করা ইনিংসের শেষ ওভারে দুটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম বলে হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অ্যাবটের স্লোয়ারে পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ের হেরফের করে কাভারে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। ২০ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করেন তিনি। এর এক বল পর রানআউট হয়েছেন নাসুম আহমেদ। ১১ বলে ৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ফিরলেন হৃদয়
স্লগ ওভারে দ্রুত রান তোলার তাগিদে ফিরলেন তাওহিদ হৃদয়। উইকেটে নেমেই সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন এই ব্যাটার। হাফসেঞ্চুরি পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অঙ্কের দিকে। তবে মার্কাস স্টয়নিসের ফুল টসে সজোরে ব্যাট চালিয়েছিলেন হৃদয়। তবে মিডউইকেট সীমানায় লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ৭৯ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন এই ব্যাটার।
৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯০ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২২ ও নাসুম আহমেদ ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
জ্যাম্পার দ্বিতীয় শিকার মুশফিক
শুরুতে দেখে শুনে খেললেও দ্রুত রান তোলার তাগিদে হাত খুলে ব্যাট চালানোর চেষ্টা করছিলেন মুশফিকুর রহিম। অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি। ২৪ বলে ১টি ছক্কার সাহায্যে ২১ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৭ রান। তাওহিদ হৃদয় ৬১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রানে ব্যাটিং করছেন।
তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি
অজিদের বিপক্ষে এদিন সব ব্যাটারই থিতু হয়েছিলেন বাংলাদেশের। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। তবে সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রম তাওহিদ হৃদয়। শুরুতে আগ্রাসী হলেও নিয়মিত উইকেট হারানোয় কিছুটা দেখে খেলছেন তিনি। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটি। ৬১ বলে এসেছে তার পঞ্চাশ রান। এ সময়ে ২টি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।
৩৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৮ রান। তাওহিদ হৃদয় ৫০ ও মুশফিকুর রহিম ৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
এবার রানআউট মাহমুদউল্লাহ
কী দারুণ ব্যাটিংই না করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর পর রানআউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। জস হ্যাজলউডের বলে কাভারে বল ঠেলেছিলেন হৃদয়। সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বেশ খানিকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে লাবুশেনের করা অসাধারণ থ্রোতে সরাসরি স্টাম্প ভাঙলে রানআউটের ফাঁদে পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৪ রান। তাওহিদ হৃদয় ৪৫ ও মুশফিকুর রহিম ০ রানে ব্যাটিং করছেন।
দুইশত রান বাংলাদেশের
উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিচেল মার্শের করা ৩২তম ওভারে মেরেছেন দুটি ছক্কা। অপর প্রান্তে তাওহিদ হৃদয়ও খেলছেন দারুণ। তাতে দুইশত রানের কোটা পাড় করেছে বাংলাদেশ। ১৯৩ বলে এসেছে দলীয় দ্বিশতক।
৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০১ রান। তাওহিদ ৪১ ও মাহমুদউল্লাহ ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
রানআউট হয়ে ফিরলেন শান্ত
উইকেটে নেমেই বেশ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয় তাকে। অ্যাডাম জ্যাম্পার স্কয়ার লেগে ঠেলে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন শান্ত। এক রান সহজেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় রান ছিল না। কিন্তু নিতে গিয়ে উইকেট খোয়ান এই ব্যাটার। ৫৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন শান্ত।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭০ রান। হৃদয় ৩৪ ও মাহমুদউল্লাহ ০ রানে ব্যাটিং করছেন।
শান্ত-হৃদয়ের জুটিতে ফিফটি
হুট করে লিটন দাসের আউটের পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব আল হাসান দলে না থাকায় এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে দারুণ খেলছেন হৃদয়। এরমধ্যে তৃতীয় উইকেটে জুটির ফিফটি তুলে নিয়েছেন তারা। ট্রাভিস হেডের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জুটির ফিফটি পাড় করেন হৃদয়। ৫০ বলে আসে জুটির অর্ধশত।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬১ রান। শান্ত ৪০ ও হৃদয় ৩৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
শান্ত-হৃদয়ের জুটিতে ফিফটি
হুট করে লিটন দাসের আউটের পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব আল হাসান দলে না থাকায় এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে দারুণ খেলছেন হৃদয়। এরমধ্যে তৃতীয় উইকেটে জুটির ফিফটি তুলে নিয়েছেন তারা। ট্রাভিস হেডের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জুটির ফিফটি পাড় করেন হৃদয়। ৫০ বলে আসে জুটির অর্ধশত।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬১ রান। শান্ত ৪০ ও হৃদয় ৩৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
আবারও হতাশ করলেন লিটন
বরাবরের মতোই দারুণ সূচনার পর ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হলেন লিটন দাস। উইকেটে সেট হয়ে দারুণ কিছু শট উপহার দেওয়ার পর সফট ডিসমিসাল যেন তার নিয়মিত পরিণতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে লং-অন সীমানার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গেলে শটে জোড় না থাকায় ধরা পড়েন মার্নাস লাবুশেনের হাতে। ৪৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেন লিটন।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ ও তাওহিদ হৃদয় ০ রানে ব্যাটিং করছেন।
বাংলাদেশের দলীয় শতরান
দলীয় ৬২ রানে তানজিদ হাসান তামিমকে হারানোর পর আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাসের সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরমধ্যেই দলীয় শতরান তুলে নিয়েছেন তারা। ৯২ বলে এসেছে বাংলাদেশের দলীয় শতক। তবে তানজিদের বিদায়ের পর কিছুটা দেখেই খেলছেন লিটন।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৫ রান। লিটন ৩৬ ও শান্ত ১৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
তানজিদের বিদায়ে ভাঙল ওপেনিং জুটি
লিটন দাসের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এদিন বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাকে। দারুণ কিছু শট খেলে রানের চাকা সচল রাখতে কার্যকরী ভূমিকাও রাখেন তিনি। কিন্তু শেন অ্যাবটের শর্ট বলে রক্ষণাত্মক ঢঙ্গে খেলতে গিয়ে লিডিং-এজ হয়ে বোলারের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন এই ওপেনার। ৩৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেন এই ব্যাটার।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৩ রান। লিটন ৩১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
পাওয়ারপ্লেতে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ
দারুণ সূচনা পেয়েছে বাংলাদেহস। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো। তুলেছে ৬২ রান। এর আগে ভারতের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি টাইগাররা। সেই ম্যাচে ৬৩ রান তুলেছিল দলটি।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬২ রান। তানজিদ ২৪ ও লিটন ২৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
বাংলাদেশের দলীয় ফিফটি
শুরুতে বেশ দেখে শুনে খেললেও ধীরে ধীরে খোলস খুলতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম বাউন্ডারি পেলেও এরপর নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রেখেছেন তারা। শেন অ্যাবটের করা অষ্টম ওভারে তিনটি চার মারেন লিটন। পরের প্রথম বলেই উইকেট ছেড়ে এসে দারুণ এক বাউন্ডারি মেরে দলীয় ফিফটি পূরণ করেন তানজিদ। ৫০ বলে এসেছে বাংলাদেশের দলীয় অর্ধশত।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৪ রান। তানজিদ ২৪ ও লিটন ২০ রানে ব্যাটিং করছেন।
বাংলাদেশের সাবধানী সূচনা
বেশ দেখে-শুনেই ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস। তাতে শুরুতে কোনো বিপর্যয় হয়নি। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে এসে প্রথম বাউন্ডারি মারেন লিটন দাস। পরের ওভারে তানজিদ মারেন আরও দুটি বাউন্ডারি। ফলে ধীরে ধীরে খোলস খুলতে শুরু করেছেন তারা।
৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৯ রান। তানজিদ ১৪ ও লিটন ৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
অজিদের একাদশে দুই পরিবর্তন
দুটি পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়াও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে চোট পাওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল খেলার মতো ফিট হলেও তাকে বিশ্রাম দিয়েছে দলটি। তার জায়গায় ফিরেছেন ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। এছাড়া অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ককে বিশ্রাম দিয়ে শেন অ্যাবটকে একাদশে নিয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ:
ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জস ইংলিস, মার্কাস স্টয়নিস, শেন অ্যাবট, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জস হ্যাজলউড।
বাংলাদেশের একাদশে তিন পরিবর্তন
চোটের কারণে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের না থাকা অনুমিতই। তবে এর সঙ্গে আরও দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলা তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম। তাদের পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। অর্থাৎ স্পিন শক্তি বাড়িয়ে আজ দুই পেসার নিয়ে খেলবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ একাদশ:
তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরেছেন তিনি। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
শঙ্কা কাটিয়ে রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বৃষ্টি। আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু রাতেও হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজও শঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে আকাশ দিনজুড়েই মেঘলা থাকতে পারে। তবে আজ সকালে রৌদ্রজ্বল চমৎকার আবহাওয়া পুনেতে।
জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ
কার্ডিফে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে মোহাম্মদ আশরাফুলের মহাকাব্যিক সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত একমাত্র জয় বাংলাদেশের। গত ১৮ বছরের বেশি সময়ে ওয়ানডেতে আর হারানো যায়নি। এবার সেই আক্ষেপ মেটাতে আজ পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অজিদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
এছাড়া বাংলাদেশের মূল ভাবনা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে অজিদের বিপক্ষে বড় হার এড়াতে পারলেই কাজটা হয়ে যায়। জিতলে তো কথাই নেই। তবে কোনো সমীকরণে না গিয়ে ম্যাচ জয়েই নজর কোচ চান্দিকা হুথুরুসিংহের, 'এই ম্যাচটি আমাদের খেলতে হবে, কালকের (আজকের) ম্যাচ। এটাই আমাদের ভাবনায় আছে। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলে খুব ভালো খেলতে হবে আমাদের। আমাদের মনোযোগ সেদিকেই। অবশ্যই (শ্রীলঙ্কার) সেই ম্যাচের প্রভাব কিছুটা থাকবে, তবে সেটাও নির্ভর করবে আমাদের ফলাফলের ওপর। এই মুহূর্তে (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির) ওসব দৃশ্যপট আমরা চিন্তা করতে পারি না।'
Comments