আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

স্টোকসের 'প্রথম' সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ৩৩৯ রানের পুঁজি

২০১৯ বিশ্বকাপে জ্বলজ্বলে থাকা স্টোকসের বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি অধরাই ছিল। শেষমেশ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন পুনেতে।

স্টোকসের 'প্রথম' সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের ৩৩৯ রানের পুঁজি

ইংল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডস
ছবি: রয়টার্স

অবসর থেকে ফিরে এসে ভারত বিশ্বকাপে শুধু দুঃস্মৃতির সঙ্গেই পরিচয় হচ্ছিল বেন স্টোকসের। সেমিফাইনালের পথ হারানো তার দল ইংল্যান্ডকে অষ্টম ম্যাচে নামতে হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লক্ষ্য নিয়ে। তবে এদিন তিনি পেলেন মধুর অর্জনের স্বাদ। ২০১৯ বিশ্বকাপে জ্বলজ্বলে থাকা স্টোকসের বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি অধরাই ছিল। শেষমেশ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন পুনেতে। তার ১০৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে ডাভিড মালান ও ক্রিস ওকসের ফিফটিতে চড়ে ইংল্যান্ড গড়ল ৩৩৯ রানের বিশাল সংগ্রহ।

বুধবার টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া ইংল্যান্ড ঝড়ো শুরু পেয়ে যায়। সপ্তম ওভারেই যদিও তারা হারিয়ে ফেলে জনি বেয়ারস্টোর উইকেট। আরিয়ান দত্তের অফ স্পিনে খাঁড়া ক্যাচ তুলে দিয়ে ১৭ বলে ১৫ রানে আউট হয়ে যান তিনি।

বেয়ারস্টোর ওপেনিং সঙ্গী মালানের ব্যাটে যদিও রানের গতিতে হেরফের হয়নি। দুর্দান্ত কয়েকটি স্ট্রেইট ড্রাইভ মারেন মালান। নিয়মিত বাউন্ডারি খুঁজে মাত্র ৩৬ বলেই ফিফটি পেয়ে যান। জো রুট এসেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করেন। ৭০ রানে পাওয়ারপ্লে শেষ করা ইংল্যান্ড ১৬তম ওভারে শতরান পেরিয়ে যায়। মালান-রুটের জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। ৮৫ রানে ভেঙে যায় সে জুটি।

সাম্প্রতিককালে রিভার্স স্কুপ রুটের ট্রেডমার্ক শটই হয়ে গেছে। এদিন অবশ্য তা কাল হয়ে যায় তার। রিভার্স স্কুপ খেলতে যাওয়া রুটের পায়ের ফাঁক গলে লোগান ফন বিকের বল ঢুকে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ২৮ রানে রুট ফিরে যান ২১তম ওভারে। পরের ওভারে মালানের উইকেটও হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। রানআউট হয়ে ৭৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরে যান তিনি।

একাদশে ফেরা হ্যারি ব্রুক ফিরে যান দ্রুতই। ১১ রানে ব্রুকের ফেরার পর অধিনায়ক জস বাটলারেরও বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসে দ্রুত। নিজের চেনা রূপ থেকে যোজন যোজন দূরে থাকা বাটলার আউট হয়ে যান ৫ রানেই। বাস ডি লিডির বলে মিডঅফে পড়ে যান ধরা।

চারে নামা বেন স্টোকস যদিও একপাশ আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু মঈন আলী এসেও ৪ রানেই আউট হয়ে গেলে বিপাকে পড়ে ইংলিশরা। দুইশর আগে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট তারা।

এরপর ক্রিস ওকসের সঙ্গে স্টোকসের জুটি জমে যায়। ওকস দুর্দান্তভাবে খেলতে থাকেন। দেখেশুনে খেলতে থাকা স্টোকস ৫৮ বলে ফিফটি হাঁকানোর পর শুরু করেন ঝড়। গিয়ার পাল্টাতে ওস্তাদ বাঁহাতি ব্যাটার শুরু করেন ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং। 

৭৮ বলেই স্টোকস পূর্ণ করেন শতক। ওকসও তার ফিফটির দেখা পেয়ে যান ৪৪ বলে। এরপরই যদিও উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে চলে যান তিনি। ৪৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫১ রানের ইনিংস খেলে যখন তিনি ফেরেন, ইংল্যান্ড তখন পৌঁছে গেছে ৩২১ রানে।

মাত্র ৮১ বলে ১২৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটির পর ডেভিড উইলি এসে এক ছক্কা মেরেই আউট হয়ে যান। স্টোকসও ফিরে যান শেষ ওভারে। ৬টি করে ছক্কা ও চারের মারে ৮৪ বলে ১০৮ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে থামেন তিনি। শেষ দশ ওভারে ১২৪ রান এনে শেষমেশ ইংল্যান্ড থামে ৯ উইকেটে ৩৩৯ রানে। ডাচদের হয়ে ডি লিডি নেন ৭৪ রানে ৩ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

11h ago