বাবরের ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আফ্রিদি
২০২৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত জিতেছে তিনটি ম্যাচ। সেই ম্যাচগুলোতে ব্যাট হাতে বাবর আজমের অবদান কী? নেই বললেই চলে! পাকিস্তানের অধিনায়ক আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ ও সবশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ রানে আউট।
অথচ বিশ্বকাপের আগে বাবরকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখা লোকের অভাব ছিল না। কারণটা যৌক্তিকও। সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটারের তকমা তার গায়ে। আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়েও তিনি অবস্থান করছেন সবার উপরে। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে নিজের দক্ষতার প্রমাণ রাখতে পারছেন কই, কই পারছেন নিজেকে মেলে ধরতে? তাতে বাবরকে ঘিরে ফোটা আশার ফুলও ঝরতে শুরু করেছে।
বাবর যে একেবারেই রান পাননি, তা কিন্তু নয়। নামের পাশে মানানসই না হলেও সাত ইনিংসে ৩০.৮৫ গড়ে মোট ২১৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এর মধ্যে তিনটি ইনিংসে তিনি পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। তবে এরপর আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। আর ওই তিনটি ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান। ফলে বাবরের ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সেই তালিকায় আছেন পাকিস্তানেরই সাবেক তারকা শহিদ আফ্রিদি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বেসরকারি চ্যানেল সামা টিভির একটি অনুষ্ঠানে আফ্রিদি সমালোচনা করেছেন বাবরের ব্যাটিংয়ের, 'বাবরের রান করা এবং বাবরের রানের কারণে ম্যাচ জেতা— দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। (ভারতের) বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল কী করে তাকিয়ে দেখুন। ওরা রান করে, দেখেশুনে বলও মোকাবিলা করে এবং দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়ে।'
যদিও নিজেকে বাবরের ভক্ত হিসেবে দাবি করেছেন সাবেক অলরাউন্ডার, 'আমি বাবরের ভক্ত, এই ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আমরা বলি, বাবর বড় মাপের খেলোয়াড়। কিন্তু সেই স্তরে পৌঁছানো এক বিষয় এবং একবার সেই স্তরে পৌঁছে যাওয়ার পর আপনার পারফরম্যান্সের ধারা বজায় রাখা (ভিন্ন বিষয় যা) অনেক বেশি কঠিন।'
এর পরপরই অবশ্য ফের বাবরের ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য খ্যাতি পাওয়া আফ্রিদি, 'বাবর যখন ব্যাট করতে নামে, তখন আমাদের মনে হওয়া উচিত যে, আমরাই জিতব। কিন্তু সেরকম অনুভূতি আসে না। আমরা জানি, সে ৫০-৬০ রান করবে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাস পাই না যে, সে আমাদের ম্যাচটা জিতিয়ে দেবে।'
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে পাকিস্তানের। সাত ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। আসরের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনও ভালোমতো টিকে আছে দলটির। আগামী শনিবার নিউজিল্যান্ডকে মোকাবিলার পর শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। সামনের গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইগুলোতে আফ্রিদিকে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন বাবর?
Comments