বাবরের ইনিংসকে কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা করলেন অশ্বিন

ছবি: এএফপি

সামনে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য। চাহিদা ছিল দ্রুত রান তোলার। সেই দাবি মেটাতে ব্যর্থ বাবর আজম খেললেন ৯০ বলে ৬৪ রানের মন্থর গতির ইনিংস। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় কোনো কাজে এলো না তার ফিফটি।

বুধবার করাচিতে ওপেনিংয়ে নামা বাবর দেখা পান ৩৫তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরির। তবে ঢিমেতালে এগোনোয় ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে তার লেগে যায় ৮১ বল। লম্বা সময় ক্রিজে থাকা ডানহাতি তারকা আউট হন ৩৪তম ওভারের শেষ বলে। কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের ডেলিভারিতে সুইপ করার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে কেইন উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হন তিনি। তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে মোটে ১৫৩ রান।

বাবরের এমন নির্বিষ ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নিজের স্বীকৃত অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, 'সালমান আলী আগার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ফিফটির পথে বাবরের এগিয়ে চলা যেন "কচ্ছপ ও খরগোশের গল্প"-এর সেরা চিত্রায়ন।'

অশ্বিনের কথার সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই হয়তো একমত হবেন। রান তাড়ার সমীকরণ বিবেচনায় বাবরের ইনিংস কচ্ছপের মতো ধীরগতিরই ছিল। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে স্রেফ ২ উইকেটে ২২ রান। বাবর তখন ক্রিজে ছিলেন ৩০ বলে ১৩ রানে। এরপর ফখর জামানের সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৬৫ বলে ৪৭ রান। চালিয়ে খেলা বাবরের সেখানে অবদান ছিল ২৪ বলে ২৩ রান। কিন্তু এরপর আবার খোলসে ঢুকে পড়েন তিনি।

পাঁচে নামা সালমান যখন চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খরগোশের মতো দ্রুতগতিতে ছুটছিলেন, অর্থাৎ মারমুখী ব্যাটিং করছিলেন, বাবর তখন ধুঁকছিলেন। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৫৯ বলে ৫৮ রানের জুটিতে বাবরের অবদান ৩১ বলে কেবল ১৬ রান। অথচ সালমান আউট হওয়ার আগে ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ২৮ বলে করে যান ৪২ রান।

ফিফটির পর নিউজিল্যান্ডের পেস অলরাউন্ডার ন্যাথান স্মিথকে ছক্কা ও বাঁহাতি স্পিনার স্যান্টনারকে চার মেরে হাত খোলার ইঙ্গিত দেন বাবর। কিন্তু আশার বাতি নিভে যায় দ্রুতই। শেষমেশ তার ইনিংসের স্ট্রাইক রেট দাঁড়ায় ৭১.১১। যা মোটেও মানানসই ছিল না লক্ষ্য তাড়ার সমীকরণের সঙ্গে। ওয়ানডেতে বাবরের কমপক্ষে ৫০ রান করা ইনিংসগুলোর মধ্যে পঞ্চম সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেট ছিল এটি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago