এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন: সাকিব
ব্যর্থতার দায়ভার জিজ্ঞেস না করলেও যেন স্বীকার করে নেওয়ার মুডে ছিলেন সাকিব আল হাসান। নিজের চরিত্রের বাইরে গিয়ে সব কড়া প্রশ্নেও একমত হয়ে গেছেন তিনি। সেমিফাইনালের স্বপ্ন তো শেষই, দলের এখন যা অবস্থা এই জায়গা থেকে বাকি তিন ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বাস্তবতাও দেখছেন না তিনি।
ইডেনে শনিবার কমলা জার্সির উৎসবের মাঝে নীল বেদনায় পুড়েছে বাংলাদেশ দল। আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা দল।
২৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে মাত্র ১৪২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশাল হারের বোঝা চাপিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আসেন চরম বিষাদগ্রস্ত চেহারায়।
এখনো বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ বাকি। প্রতিপক্ষের নাম পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া। ডাচদের বিপক্ষে হারের পর ওই তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কোন আশা করতেও যেন ভয় পাচ্ছেন সাকিব। দল বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমন মনে করতে পারছেন না সাকিব, 'সত্যি বলতে, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। যেহেতু তিন ম্যাচ আছে। সুযোগ এখনও আছে আমাদের কাছে (কিছু ম্যাচ জেতার), তবে খুবই কঠিন। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা ছাড়া আমাদের এখন কিছু করার নেই। আজকের দিনটা আমরা যদি ভুলে যেতে পারি এবং সামনের ম্যাচগুলোর জন্য মনোযোগ দিতে পারি ভালোভাবে, খুবই কঠিন এই জিনিসটা করা। যে পরিস্থিতির ভেতরে এখন আমরা আছি সেখান থেকে কামব্যাক করা কঠিন।'
১৯৯৯ বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের। ওই বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে মিলেছিল দুই জয়। তবে তখনকার বাস্তবতায় সেটা ছিল স্মরণীয় বিশ্বকাপ। ২০০৩ বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ। হেরেছিল কেনিয়া, কানাডার মতো দলের বিপক্ষেও। ২০০৭ থেকে এরপরের সবগুলো বিশ্বকাপে তিনটা করে ম্যাচ জেতে দল।
বড় মঞ্চে কখনো তিনটার বেশি ম্যাচ জিততে না পারায় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স আহামরি না বলে বিশ্বকাপের আগে বলেছিলেন সাকিব। তবে এবারের পারফরম্যান্স আগের চেয়েও নাজুক হতে যাচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্ন হলে তা স্বীকার করে নেন সাকিব, 'নির্দ্বিধায় বলতে পারেন (সবচেয়ে বাজে)। আমি দ্বিমত করব না।'
Comments