কঠোর ব্যাটিং অনুশীলন করলেও রানিং করলেন না সাকিব
চেন্নাইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চোট পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অনুশীলনে সব নজর সাকিব আল হাসানের দিকে। পুনেতে নিবিড় অনুশীলন করার পরও শেষ মুহূর্তে ম্যাচ খেলেননি। মুম্বাইতেও ব্যাটিং অনুশীলনে তাকে দেখা গেছে তৎপর। তবে রানিং করেননি মাংসপেশির চোটে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
রোববার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুপুর ২টা থেকে ছিল বাংলাদেশের অনুশীলন। দুপুর ১টাতেই মাঠে চলে আসে দল। অধিনায়ক সাকিব শুরুতেই মাঠে এসে টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরণ শ্রীরামকে নিয়ে মাঠে ঢুকেন। কিছুটা অসুস্থ থাকায় এদিন অনুশীলনে দেখা যায়নি প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে।
মাঝের উইকেটে এসে ঘুরে দেখার পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় তাকে। ওয়ার্মআপে গা গরমের ফুটবলেও স্বাভাবিক ছিলেন সাকিব।
পরে তিন দফায় প্রায় ঘন্টাখানেক ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন তিনি। তবে রানিং করতে দেখা যায়নি তাকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় বাম পায়ের মাংসপেশির চোটে পড়েন সাকিব। এই চোট নিয়ে ওই ম্যাচে বোলিং-ফিল্ডিং করলেও পরে তাকে নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। একাধিকবার এমআরআই করা হলেও তার অবস্থা পরিষ্কার করে জানায়নি দল।
সাকিবের চোটের ধরণ বলছে রানিং করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রানিং করে কোন সমস্যা বোধ না করলে ম্যাচ খেলা নিয়ে সংশয় থাকার কথা না। এদিন রানিং না করায় কিছুটা প্রশ্নের জায়গা থেকে গেলো।
ব্যাটিং অনুশীলনে শুরুতে নক করার পর পেসারদের নেটে সময় কাটান সাকিব। পরে থ্রো ডাউনে খেলে প্রবেশ করেন স্পিনারদের নেটে। স্পিন বল এগিয়ে এসে বড় শটের চেষ্টা করেছেন। বেশিরভাগ বলেই টাইমিং গড়বড় হচ্ছিল তার। দুই দফা অনুশীলনের পর মিনিট বিশেকের বিশ্রাম নিয়ে আবার ফেরেন থ্রো ডাউনে। গতিময় বল খেলার চেষ্টা করেছেন। অভিপ্রায় ছিল বড় শটের।
সব মিলিয়ে তাকে ৫০ মিনিটের মতো ব্যাট করতে দেখা যায়। শেষ বিকেলে সাকিব রানিং করেন কিনা তা নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। তবে শ্রীরামের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে অনুশীলন থামিয়ে চলে যেতে দেখা যায় তাকে।
পুনেতেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দুদিন আগে ৪৫ মিনিট নেটে কাটিয়েছিলেন সাকিব। সেদিন হালকা রানিংও করেছিলেন। ম্যাচের আগের দিন তার খেলা নিয়ে তবু সংশয়ের কথা জানান প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
দ্বিতীয় দফায় এমআরআই প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছিল তার খেলা, না খেলা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ওয়ার্মআপে নামতে দেখা যায় সাকিবকে। খেলার আভাস ছিল স্পষ্ট। কিন্তু পরে ম্যাচে নামতে দেখা যায়নি সাকিবকে।
সাকিবের মাংসপেশির চোট কোন পর্যায়ের তা বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও সূত্র মারফত জানা গেছেন, গ্রেড ওয়ান টিয়ারে ভুগছেন তিনি। এই ধরণের চোটে সাধারণ দশ দিন বিশ্রাম নিতে হয়। চেন্নাইতে ম্যাচ খেলার নয়দিন হয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আছে আরও দুদিন সময়। সাকিবকে সেদিক থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এখন ম্যাচের আগের দিন তিনি রানিং করেন কিনা তা দেখার অপেক্ষায়। অনুশীলনে এমনিতেই বোলিংয়ের প্রস্তুতি কম নিতে দেখা যায় তাকে। এবারও বোলিং করেননি।
আগামী ২৪ অক্টোবর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের তিনটি হেরে বিপাকে আছে সাকিবের দল। আশা বাঁচিয়ে রাখতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জেতার বিকল্প নেই। জিততে হলে সাকিবকেও ভীষণ প্রয়োজন হবে দলের।
Comments