আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

কোণঠাসা অবস্থায় মুখোমুখি ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা

উড়তে থাকা দুই দলই খেয়েছে বড় ধাক্কা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সঙ্গে হেরে আছে চরম ব্যাকফুটে।

কোণঠাসা অবস্থায় মুখোমুখি ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্রেফ একটা দলকে ফেভারিট বলতে বললে হয়তো বেশিরভাগ লোক বেছে নিতেন ইংল্যান্ডকে। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সাম্প্রতিক ছন্দ, স্কোয়াডের শক্তি বিচারে ছিল সেরা অবস্থায়। বিশ্বকাপের শুরুতে দুর্দান্ত ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাও দেখায় যে তারা ডার্ক হর্স। তবে উড়তে থাকা দুই দলই খেয়েছে বড় ধাক্কা। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের সঙ্গে হেরে আছে চরম ব্যাকফুটে।

শনিবার মুম্বাইতে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়বে এই দুই দল। যারা হারবে তাদের আরও কোণঠাসা অবস্থায় চলে যাওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে দুই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট চার। ইংল্যান্ডের অবস্থা আরও নাজুক। তিনটির মধ্যে তারা জিতেছে কেবল একটি। হেরে বসেছে আফগানিস্তানের সঙ্গে। অন্যদিকে, প্রোটিয়ারা নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে পা না হড়কালে তাদের এত অস্বস্তিতে পড়তে হতো না।

দুই দলই ভুগেছে রান তাড়ার চাপ নিতে না পেরে। গত মঙ্গলবার ধর্মশালায় ডাচদের বিপক্ষে ২৪৬ রান তাড়ায় ৩৮ রানে হেরে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চারশ ছাড়ানো পুঁজির পর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয় তারা।

বড় ধাক্কার পর ঘুরে দাঁড়াতে দলের মধ্যে কড়া আলোচনা হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, 'দলের মধ্যে কড়া আলোচনা হয়েছে। আমরা অবশ্যই নিজেদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করেছি। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যাচাই করেছি ঘাটতি। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। নিজেদের উপর আস্থা আছে। ভালো মানসিক অবস্থায় আছি সবাই।'

দক্ষিণ আফ্রিকা অঘটনের শিকার হওয়ার আগে গত রোববার আফগানদের বিপক্ষে হেরে বসে ইংল্যান্ড। ২৮৫ রানের লক্ষ্যে ২১৫ রানে থেমে যায় তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং লাইনআপ। ওই ম্যাচের পর অবশ্য লম্বা বিশ্রাম মিলেছে। ইতোমধ্যে সেরে উঠেছেন দলের অন্যতম ভরসা বেন স্টোকসও। গতকাল শুক্রবার ওয়াংখেড়েতে তাকে অনুশীলন করতে দেখা গেছে।

ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার আশাবাদী নিজেদের ছন্দ ফিরে পাওয়ার, 'ওই হারের পর কয়েকটা দিন পেয়েছি। এর মধ্যে দৃষ্টি সরিয়ে ফোকাস করতে পারছি নিজেদের উপর। আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। অনুশীলনে আমাদের ভেতর তীব্র তাড়না ছিল।'

দুই দলই মরিয়া থাকায় মুম্বাইতে তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের আভাস দেখা যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers call for JnU 'shutdown'

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

2h ago