আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

বাংলাদেশের ওপেনারদের এমন নৈপুণ্য আক্ষেপ বাড়াবে আরও!

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দুই ওপেনার যা করেছেন, তা বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগে ঘটেনি কখনোই।

বাংলাদেশের ওপেনারদের এমন নৈপুণ্য আক্ষেপ বাড়াবে আরও!

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি
ছবি: রয়টার্স

২৫৬ রানের সাদামাটা পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৭ উইকেটে। সেখানে ব্যক্তিগত কীর্তিগাথা শুনতে কার ভালো লাগবে! তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দুই ওপেনার যা করেছেন, তা বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগে ঘটেনি কখনোই। সেই নৈপুণ্য অবশ্য দেশের ভক্ত-সমর্থকদের আক্ষেপটাই কেবল বাড়িয়ে দিবে!

তানজিদ তামিম ও লিটন দাস, দুই ওপেনারই বৃহস্পতিবার পুনেতে ফিফটি হাঁকিয়েছেন। যদিও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন তানজিদ। লিটনের ইনিংস থেমেছে ৬৬ রানে। দুজনেই ফিফটি করে আউট হয়ে গেলেও তাতেই অনন্য এক ঘটনা ঘটেছে। 

বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে এর আগে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই ফিফটি হাঁকাতে পারেননি। প্রথমবারের মতো পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে লিটন ও তানজিদ এমন কিছু করে দেখিয়েছেন।

তবে বিশ্বকাপে প্রথমবার দুই ওপেনারের ফিফটির দিনেই হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে আরও ছয়টি ম্যাচেও এভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের কাছ থেকে ফিফটি পাওয়ার পরও শেষমেশ টাইগারদের ভাগ্যে সেসব দিনে হার লেখা ছিল।

বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বকাপে এমন ঘটনা আছে আরও আটটি। দুই ওপেনারের থেকে ফিফটি পেয়ে ইংল্যান্ড হেরেছে দুবার, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাও দুবার করে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে। আর ওপেনারদের ফিফটির দিনে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটি করে ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে।

এমনিতে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং, আর ওপেনিংয়ে তো আরও বেশি! সেখানে এত দুর্দান্ত শুরু তারা পেয়েছিল এদিন, যেমনটা বিশ্বকাপে এর আগে কখনোই পায়নি। কিন্ত অসাধারণ শুরুর পরও বাংলাদেশের বাকি ব্যাটিংটা অসাধারণ হয়নি।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৯৩ রানের রেকর্ড ওপেনিং জুটি ও দুই ওপেনারের ফিফটির পরও দল ২৫৬ রানের সংগ্রহে আটকে যায়। বিরাট কোহলির অপরাজিত সেঞ্চুরিতে পুনের ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটে যা তাড়া করেছে ভারত অনায়াসে। টাইগার ওপেনারদের এমন কীর্তির দিনে তাই আক্ষেপের গানই শুধু কানে বাজছে!

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago