কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হারাল ভারত
ব্যাটিংয়ে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটির ভিত কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। পুরো ওভার খেলে তারা ছুঁড়ে দিতে পারল কেবল ২৫৭ রানের লক্ষ্য। ব্যাটিং-স্বর্গ হিসেবে খ্যাতি থাকা পুনের উইকেটে এই রান ভারত তাড়া করে ফেলল অনায়াসে। তাদের স্কোরকার্ডে জ্বলজ্বল করল বিরাট কোহলির নাম। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচে আয়োজক ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ার শুরুতে আগ্রাসী ইনিংসে সুর বেঁধে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আরেক ওপেনার শুবমান গিল থামার আগে করেন ফিফটি। তবে ম্যাচসেরা কোহলিকে কোনোভাবেই আটকাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। আরেকটি স্মরণীয় ইনিংসে অপরাজিত সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ওয়ানডেতে এটি তার ৪৮তম সেঞ্চুরি।
নাসুম আহমেদকে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করা কোহলি খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। ৯৭ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। এছাড়া, রোহিত ৪০ বলে ৪৮ ও গিল ৫৫ বলে ৫৩ রান করেন। কোহলির সঙ্গে ৭৪ বলে ৮৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কেএল রাহুল অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৩৪ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে ৪৭ রানে ২ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি তারাও এখনও বিশ্বকাপে অপরাজিত। রান রেটে এগিয়ে থাকায় কিউইরা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ভারতের অবস্থান দুইয়ে। উভয়েরই পয়েন্ট সমান ৮। টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশ আছে সাত নম্বরে। তাদের অর্জন ২ পয়েন্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৪১.৩ ওভারে ২৬১/৩ (রোহিত ৪৮, গিল ৫৩, কোহলি ১০৩*, শ্রেয়াস ১৯, রাহুল ৩৪*; শরিফুল ০/৫৪, মোস্তাফিজ ০/২৯, নাসুম ০/৬০, হাসান ১/৬৫, মিরাজ ২/৪৭, মাহমুদউল্লাহ ০/৬)।
কোহলির সেঞ্চুরি
জয়ের জন্য ভারতের যখন দরকার ছিল ২৬ রান, তখন সেঞ্চুরির জন্য কোহলিরও চাহিদা ছিল ঠিক সমান। এরপর তিনি মেলে ধরেন অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পসরা। স্ট্রাইক ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আনতে থাকেন বাউন্ডারি। ডাবল নেওয়াতেও দেখান দক্ষতা। অর্থাৎ তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছানোই ছিল তার লক্ষ্য।
রাহুলকে অন্যপ্রান্তে রেখে টানা ১৯ বল খেলা কোহলির কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি আসে ম্যাচের শেষ বলে। মাঝে হাসান মাহমুদের করা একটি ওয়াইডের কারণে সেসময় ভারতের ২ রানের প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে কোহলির ছিল ৩ রান। ছক্কা মেরে দুই সমীকরণই মিলিয়ে দেন তিনি।
ভারতের দুইশ
৩৪তম ওভারে ভারতের সংগ্রহ দুইশ স্পর্শ করল। ওভারটি শেষে তাদের রান ৩ উইকেটে ২০১। জয়ের জন্য ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৯৬ বলে মাত্র ৫৬ রান দরকার তাদের। অর্থাৎ বাংলাদেশের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। ক্রিজে রয়েছেন ৬৮ বলে ৬৫ রান করা বিরাট কোহলি ও ১৮ বলে ১৩ রান করা কেএল রাহুল।
মিরাজের দ্বিতীয় শিকার শ্রেয়াস
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর চড়াও হতে চাইলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে একটু বাড়তি টার্নের কারণে পরাস্ত হলেন তিনি। অনেক উঁচুতে ওঠা বল লুফে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। মিরাজ পেলেন এই ম্যাচে দ্বিতীয় শিকারের স্বাদ।
২৫ বলে ২ চারে শ্রেয়াসের রান ১৯। তার বিদায়ে ভাঙল ৫৯ বলে ৪৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
৩০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৪ রান। পিচে ৫৮ বলে ৫৭ রানে থাকা বিরাট কোহলির সঙ্গী হলেন কেএল রাহুল। জয়ের জন্য ২০ ওভারে আর মাত্র ৭৩ রান দরকার ভারতের। অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭ উইকেট।
বিশ্বকাপে তৃতীয় ফিফটি তুলে নিলেন কোহলি
এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচে নিজের তৃতীয় ও ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে ৬৯তম ফিফটি তুলে নিলেন বিরাট কোহলি। সেজন্য তার লাগল ৪৮ বল। সাবলীল ঢঙে থাকা তারকার ব্যাট থেকে ৪ চারের সঙ্গে এসেছে ১ ছক্কা।
২৭তম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছালেন কোহলি। ওভারটি শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ১৭১। কোহলির সঙ্গে শ্রেয়াস আইয়ার ২১ বলে ১৮ রানে খেলছেন।
ক্রিজে গিয়েই 'উপহার' হিসেবে পাওয়া দুটি ফ্রি হিটে চার ও ছক্কা হাঁকান কোহলি। সেই ভালো শুরুকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাকে কোনোরকম পরীক্ষাতেই ফেলতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা।
ভারতের দেড়শ
২৩ ওভার শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ১৫০। মাত্র ৭৯ বলে শতরান পূরণ করার পর এবারের পঞ্চাশ করতে একটু বেশি সময় লাগল তাদের— ৫৯ বল।
ক্রিজে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি ৩৬ বলে ৩৮ রানে। তার সঙ্গে শ্রেয়াস আইয়ার খেলছেন ৯ বলে ৯ রানে। জয়ের জন্য হাতে ৮ উইকেট নিয়ে ২৭ ওভারে আর ১০৭ রান চাই তাদের।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ম্যাচের লাগাম রয়েছে ভারতের মুঠোয়। তারা রয়েছে জয়ের কক্ষপথে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে।
হাফসেঞ্চুরির পরই ফিরলেন গিল
হাফসেঞ্চুরির পর টিকলেন না শুবমান গিল। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হলেন তিনি। ভারসাম্য ধরে রেখে ওয়াইড লংঅনে সীমানার কাছে চমৎকার ক্যাচ নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৫ চার ও ২ ছক্কায় গিল করলেন ৫৫ বলে ৫৩ রান। তার বিদায়ে থামল ৪২ বলে ৪৪ রানের জুটি। বাংলাদেশ পেল দ্বিতীয় উইকেটের দেখা।
২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪২ রান। ক্রিজে বিরাট কোহলির সঙ্গী শ্রেয়াস আইয়ার। কোহলি ২৫ বলে ৩৪ ও শ্রেয়াস ২ বলে ৫ রানে খেলছেন।
দারুণ ব্যাটিংয়ে গিলের ফিফটি
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিলেন ২৪ বছর বয়সী শুবমান গিল। ৩৭ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটি তার দশম হাফসেঞ্চুরি। এই ডানহাতি ওপেনারের নামের পাশে সেঞ্চুরি আছে ছয়টি। চলতি বছর ওয়ানডেতে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ডেঙ্গুর কারণে এবারের আসরে ভারতের প্রথম দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি গিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে দলটির সবশেষ ম্যাচ দিয়ে ফেরেন একাদশে। বিশ্বকাপে সেটি ছিল তার অভিষেক ম্যাচ। সেদিন অবশ্য ১৬ রানেই আউট হয়ে যান।
শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সামনে ঠেলেই সিঙ্গেল নিলেন গিল। এতে পূর্ণ হলো তার ফিফটি। ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছাতে তার লাগল ৫২ বল। তার ইনিংসে চার পাঁচটি ও ছক্কা দুটি।
১৯ ওভার শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ১৩০। ২২ গজে আছেন গিল ৫৩ বলে ৫১ ও বিরাট কোহলি ২৩ বলে ২৯ রানে। জয়ের জন্য তাদের চাই ৩১ ওভারে ১২৭ রান। হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
ভারতের একশ
দ্রুতগতিতে ছুটছে ভারতের ইনিংস। ৫৪ বলে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হয়েছিল তাদের। এরপর আরও গতি বাড়িয়ে মাত্র ৭৯ বলে শতরান স্পর্শ করল দলটি।
বিপজ্জনক রোহিতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন হাসান
শর্ট ডেলিভারিতে ছক্কা হজম করেও দমে গেলেন না হাসান মাহমুদ। আবার বল করলেন শর্ট লেংথে। রোহিত শর্মাও ফের হাঁকালেন। কিন্তু এই দফায় ব্যাটে-বলে প্রত্যাশিত সংযোগ ঘটাতে পারলেন না ভারতের অধিনায়ক। ডিপ স্কয়ার লেগে সীমানার কাছে ক্যাচ নিলেন তাওহিদ হৃদয়।
৪০ বলে ৪৮ রানে থামল রোহিতের আগ্রাসী ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি ছক্কা ও সাতটি চার। রোহিতের বিদায়ে ভাঙল ৭৬ বলে ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। বাংলাদেশ পেল গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু।
১৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৩ রান। ক্রিজে আরেক ওপেনার শুবমান গিল ৩৬ বলে ৪০ ও বিরাট কোহলি ৪ বলে ১৩ রানে আছেন।
উইকেট পেলেও হাসানের ওভারটি ছিল ভীষণ খরুচে। তিনি দিলেন ২৩ রান। রোহিতকে বিদায়ের পর দুটি নো বল করলেন এই ডানহাতি পেসার। আর দুটি ফ্রি হিট পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগালেন মাত্রই নামা কোহলি। চারের পর ছক্কা হাঁকালেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
পাওয়ার প্লেতে ভারতের একচেটিয়া দাপট
প্রথম থেকেই খুনে মেজাজে রোহিত শর্মা। দেখেশুনে শুরুর পর হাত খুলতে শুরু করেছেন শুবমান গিলও। ইনিংসের দশম ওভারে নাসুম আহমেদকে লংঅফ ও লংঅন দিয়ে দুটি ছক্কা মারলেন তিনি। দুই ওপেনারের ব্যাটে প্রথম পাওয়ার প্লেতে একচেটিয়া দাপট দেখাল ভারত।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার বোলার ব্যবহার করেছে। তবে কেউই ভারতের ওপেনারদের পাল্টা আক্রমণ করতে পারেননি, পারেননি উইকেট নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে।
প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের স্কোর ৬৩/০। রোহিত ৩৩ বলে ৩৭ ও গিল ২৭ বলে ২৬ রানে ক্রিজে আছেন।
শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও রোহিত
শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হলেন ফর্মের চূড়ায় থাকা রোহিত শর্মা। ভারতের অধিনায়ক আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা।
৬ ওভার শেষে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৭ রান। রোহিত ২৪ বলে ৩১ ও শুবমান গিল ১২ বলে ৬ রানে খেলছেন।
শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে দুটি চার মারেন রোহিত। এই বাঁহাতি পেসার আক্রমণে ফিরলে তিনি হাঁকান একটি করে চার ও ছক্কা। অর্থাৎ শরিফুলের ওপর দিয়ে বড় ধকলটা যাচ্ছে। ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়েছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমানকে সরিয়ে চতুর্থ ওভারেই আক্রমণে পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ওই ওভারে দেন ২ রান।
উড়ন্ত শুরুর পরও ২৫৬ রানে থামল বাংলাদেশ
তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে কী দারুণ সূচনাই না পেয়েছিল বাংলাদেশ! তখন তিনশ রান মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এরপর ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ। ৪৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল তারা।
এরপর আর সে অর্থে ঘুরে দাঁড়াতে পারল না নাজমুল হাসান শান্তর নেতৃত্বাধীন দল। তখন আড়াইশ রানও কঠিন মনে হচ্ছিল টাইগারদের জন্য। তবে শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে কোনোমতে আড়াইশ পার করল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৬/৮ (তানজিদ ৫১, লিটন ৬৬, শান্ত ৮, মিরাজ ৩, তাওহিদ ১৬, মুশফিক ৩৮, মাহমুদউল্লাহ ৪৬, নাসুম ১৪, মোস্তাফিজ ১* শরিফুল ৭*; বুমরাহ ২/৪১, সিরাজ ১/৬০, হার্দিক ০/৮, কোহলি ০/২, শার্দুল ১/৫৯, কুলদীপ ১/৪৭, জাদেজা ২/৩৮)।
দ্রুত রান তুলতে গিয়ে থামলেন মাহমুদউল্লাহ
শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত তোলার চেষ্টা করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৩টি করে চার ও ছক্কায় টাইগারদের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন এই ব্যাটার।
সিরাজের দ্বিতীয় শিকার নাসুম
চার বলের মধ্যে দুটি চার মেরেছিলেন নাসুম আহমেদ। এরপর আরও একটি মারতে গিয়ে ফিরলেন এই ব্যাটার। সজোরে মারতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে। ভাঙে ৩২ রানের জুটি। ১৮ বলে দুটি চারে ১৪ রান করেন নাসুম।
জাদেজার দারুণ ক্যাচে আউট মুশফিক
রানের গতি বাড়াতে কিছুটা হাত খুলেই খেলার চেষ্টা করছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচের বলি হয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। স্কয়ার কাট করে বাউন্ডারি আদায় করতে গেলে গালিতে ঝাঁপিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন জাদেজা। ৪৬ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন মুশফিক।
ব্যর্থতার বৃত্তেই তাওহিদ হৃদয়
উইকেটে নেমেই হাঁসফাঁস করছিলেন তাওহিদ হৃদয়। ৪৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানো দলের বিপদে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু আস্থার প্রতীক হতে পারলেন না এই তরুণ। শার্দুল ঠাকুরের বলে মিডউইকেটে শুবমান গিলের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন ব্যক্তিগত ১৬ রানে। মন্থর ইনিংসে ৩৫ বল মোকাবিলা করেন তিনি।
বিশ্বকাপে হাজার রান মুশফিকের
মাত্র ৪ রান দূরে ছিলেন বিশ্বকাপের হাজারি ক্লাবে যোগ দিতে। এদিন ভারিতের বিপক্ষেই এই মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে হাজার রানের বেশি করলেন তিনি। এর আগে প্রথম জন ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসান।
বিপদ বাড়ালেন লিটন
৩৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারানোর পর লিটন দাসের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কারণ উইকেটে দারুণ সেট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উল্টো দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। রবীন্দ্র জাদেজার বল উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েন শুবমান গিলের হাতে। ৮২ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৬ রান করেন লিটন।
ফিরলেন মিরাজও
ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পেয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভালোই খেলছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ভারতের বিপক্ষে হতাশ করেছেন এই ব্যাটার। মোহাম্মদ সিরাজের লেগ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে ঘোরাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন এই অলরাউন্ডার। ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ফলে ৯৩ রানের ওপেনিং জুটির পর ৩৬ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারালো টাইগাররা। ১৩ বলে ৩ রান করেন মিরাজ।
তানজিদের পর ফিরলেন শান্তও
বিশ্বকাপের আগে কি দুর্দান্ত ছন্দেই না ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু বিশ্বকাপে এসেই ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তনে আত্মবিশ্বাস হারান তিনি। সে ধারায় এদিন নিজের পছন্দের পজিশনে নেমেও সফলতা পেলেন না এই ব্যাটার। রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে ধরাশায়ী হয়েছেন তিনি। কিছুটা দোমনা হয়ে লেগে ঘোরাতে পেয়েছিলেন শান্ত। লাইন মিস করে প্যাডে লাগলে আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ১৭ বলে ৮ রান করেন অধিনায়ক।
বাংলাদেশের দলীয় শতরান
লিটন কুমার দাসের সঙ্গে দারুণ এক ওপেনিং জুটি গড়ে কুলদিপ যাদবের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন তানজিদ হাসান। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন লিটন। এরমধ্যে দল পার করেছে শতরানের কোটা। ১৭.২ ওভার অর্থাৎ ১০৪ বলে এসেছে দলীয় সেঞ্চুরি।
তানজিদের বিদায়ে ভাঙল জুটি
দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশেকে দারুণ সূচনার অন্যতম কারিগর তানজিদ হাসান তামিম। তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিও। তবে কুলদিপ যাদবের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করলে বল আঘাত হানে প্যাডে। সঙ্গেসঙ্গেই আঙুল তোলেন আম্পায়ার। ভাঙে ৯৩ রানের জুটি। ৪৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ।
তানজিদের হাফসেঞ্চুরি
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে আশার আলো দেখালেও মূল পর্বে সে অর্থে ভালো খেলতে পারছিলেন না তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। আগের তিন ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ। অবশেষে জ্বলে উঠেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে এদিন নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই তরুণ। মাত্র ৪১ বলেই হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ার সেরা তো বটেই।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৯০ রান করেছে বাংলাদেশ। তানজিদ ৫০ ও লিটন ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।
ওপেনিং জুটির নতুন রেকর্ড
ওপেনিং জুটি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কম চর্চা হয়নি। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় এটাই ছিল টাইগারদের অন্যতম বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। তবে এদিন সেই ওপেনিং জুটিই গড়েছেন নিজেদের নতুন বিশ্বকাপ রেকর্ড। ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতটি বিশ্বকাপ খেলে এদিনই সেরা ওপেনিং জুটি পেয়েছে টাইগাররা। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও মেহরাব হোসেন অপির ৬৯ রান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জুটি গড়েছিলেন তারা।
ওপেনিং জুটির ফিফটি
বিশ্বকাপে আগের তিন ম্যাচেই ভুগেছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। আফগানিস্তানের সঙ্গে ১৯ রানের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন হয়েছিল ১৪ রানে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে আসেনি কোনো রানই।
তবে অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পেরেছে টাইগারদের ওপেনিং জুটি। এরমধ্যেই পার করেছে জুটির হাফসেঞ্চুরি। ৫৬ বলে এসেছে জুটির ফিফটি।
সবমিলিয়ে চলতি বছর ২৩ ওয়ানডেতে এই নিয়ে মাত্র চতুর্থবার বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করল।
বাংলাদেশের সাবধানী সূচনা
শুরুটা বেশ কোণঠাসা অবস্থায় করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে একটি বাউন্ডারিতে এসেছিল মাত্র ১০ রান। তবে এরপর ধীরে ধীরে খোলস খুলতে শুরু করেছে টাইগাররা। তবে সাবধানতার সঙ্গেই ব্যাট করছেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন কুমার দাস।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৫ রান করেছে বাংলাদেশ। যা চলতি আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। তানজিদ ২৩ ও লিটন ২০ রানে ব্যাটিং করছেন।
শুরুতেই খোলসে বন্দী বাংলাদেশ
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিং স্বর্গ। এই স্বর্গে কোনো রানই নিরাপদ নয়। সেখানে শুরুতে খোলসে বন্দী হয়ে আছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস। বিশেষকরে লিটন তো ব্যাটই চালাচ্ছেন না। নিজের প্রথম ১৩ বল ডট দিয়ে ১৪তম বলে এসে নিয়েছেন সিঙ্গেল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তানজিদ ৯ ও লিটন ১ রানে উইকেটে আছেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সাকিব আল হাসান যখন ওয়ার্মআপ করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। ফলে তার জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ষষ্ঠ অধিনায়ক এ তরুণ।
বৃহস্পতিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নেতৃত্বের শুরুটাও ভালো হয়েছে শান্তর। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস জিতে নিয়েছেন তিনি। আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তবে টস হারলেও অসন্তুষ্ট নয় ভারত। কারণ টস জিতলে ফিল্ডিং বেছে নিতেন তাদের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অর্থাৎ সেক্ষেত্রেও আগে ব্যাটিং করতে হতো বাংলাদেশ।
সাকিবের সঙ্গে নেই তাসকিনও
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচ থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। সাকিবের সঙ্গে নেই পেসার তাসকিন আহমেদও। এই দুই তারকার জায়গায় খেলছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
অপরিবর্তিত একাদশ ভারতের
ভারতের একাদশে আসেনি কোনো পরিবর্তন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের একাদশই ধরে রেখেছে তারা।
ভারত একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।
ওয়ার্মআপ করছেন সাকিব
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে গত কয়েক দিন থেকে ধোঁয়াশা চলছে। আজ সকালেই সাকিবের নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি খেলবেন কি-না তা এখনও নিশ্চিত করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে স্বস্তির খবর দলের সঙ্গে ওয়ার্মআপ করছেন টাইগার অধিনায়ক।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ১৩ অক্টোবর চেন্নাইতে ব্যাট করার সময় মাংসপেশিতে টান পড়ে সাকিবের। পরে বোলিং ও ফিল্ডিং করলেও স্বস্তিবোধ করছিলেন না তিনি। ম্যাচের পর এমআরআই স্ক্যান করা হলেও ফল জানানো হয়নি। তবে জানা গেছে স্ক্যানের রিপোর্টে তার বাম উরুতে গ্রেড ১ টিয়ার ছিল। তবে কখনই তার ইনজুরির অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
সব বিভাগে পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় টাইগাররা
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেও এরপর টানা দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। তাই ভারতের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগাররা। অন্যথায় সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসবে। আর স্বপ্নটা জোরালো করতে প্রতি বিভাগের সেরা পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন টাইগারদের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেও।
বুধবার পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটাই মাঠে নামবে টাইগাররা। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জয়ের প্রত্যাশা করে হাথুরুসিংহে বলেছেন, 'সম্ভবত এই উইকেট এখন পর্যন্ত সেরা ব্যাটিং ট্র্যাক। আমাদের খুব ভালো নেট সেশন হয়েছে। হ্যাঁ, আমরা ভালো ব্যাট করেনি। ব্যাটে বলে সম্পূর্ণ পারফরম্যান্স এখনো আসেনি। আমরা সব বিভাগের পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সের আশায় আছি।'
একাদশে পরিবর্তনের আভাস বাংলাদেশের
এবার বিশ্বকাপে আগের তিন ম্যাচের দুটিতে বাংলাদেশ খেলেছে বিশেষজ্ঞ আট ব্যাটার নিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান খেললেও বাকি দুই ম্যাচে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে, 'ভারতের বিপক্ষে আমাদের ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। সম্ভবত উইকেট ও কন্ডিশন বিচারে আমরা ভিন্ন সমন্বয় নিয়ে নামব।'
সাকিবকে নিয়ে ভাবছে না ভারত
ম্যাচের আগে দিন পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। দলের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়কে না পাওয়া নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা হবে টাইগারদের জন্য। তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করে থাকে প্রতিপক্ষ দলগুলো। ভারতের ব্যাটারদের বাঁহাতি স্পিনে দুর্বলতার পরিসংখ্যান জানান দেয় সাকিব তাদের বিপক্ষে হতে পারেন বিপদজনক। তবে তার প্রশংসা করলেও তাকে নিয়ে ভাবনার কিছু দেখেন না ভারতের বোলিং কোচ পরজ মাম্রে।
সাকিবকে নিয়ে রহস্য কাটেনি
মঙ্গলবার টানা ৪৫ মিনিট ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে ভারতের বিপক্ষে তিনি খেলবেন কিনা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আজ ম্যাচের দিনেই। তবে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, অধিনায়কের বাম পায়ে আরেকটি এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। এই স্ক্যানের প্রতিবেদন, চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সাকিবের নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে সব কিছু।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ১৩ অক্টোবর চেন্নাইতে ব্যাট করার সময় মাংসপেশিতে টান পড়ে সাকিবের। পরে বোলিং ও ফিল্ডিং করলেও স্বস্তিবোধ করছিলেন না তিনি। ম্যাচের পর এমআরআই স্ক্যান করা হলেও ফল জানানো হয়নি। তার খেলা, না খেলা রেখে দেওয়া হয় রহস্যের মধ্যে।
Comments