আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

‘দুই ম্যাচ দিয়ে দুই বছরের অর্জন এলোমেলো ভাবলে আমাদের ব্যর্থতা’

গত দুই বছরে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এনেছে দারুণ সব সাফল্য। ধারাবাহিকভাবে প্রভাব রেখেছে দলের জয়ে। তবে বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে সেই পেসাররাই ছিলেন বিবর্ণ।

ধর্মশালা থেকে

‘দুই ম্যাচ দিয়ে দুই বছরের অর্জন এলোমেলো ভাবলে আমাদের ব্যর্থতা’

বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড

গত দুই বছরে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এনেছে দারুণ সব সাফল্য। ধারাবাহিকভাবে প্রভাব রেখেছে দলের জয়ে। তবে বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে সেই পেসাররাই ছিলেন বিবর্ণ। তাদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স তৈরি করেছে প্রশ্ন। তবে এসব প্রশ্নের ভিড়ে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার কিছুটা আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন তাসকিন আহমেদ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ তাসকিন ও শরিফুল শুরু থেকে ছিলেন এলোমেলো। পরে দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ভালো বল করেন সাকিব। তবে এদিন পেসাররা ছিলেন আরও এলোমেলো।

তাসকিন নিজে বল করেছেন কেবল ৬ ওভার। তাতে দেন ৩৮ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের ১০ ওভার থেকে আসে ৭০ রান। শরিফুল ইসলাম ৩ উইকেট নিলেও দেন ৭৫ রান।

পেসারদের মলিন দিনে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি থেকেই আসে ১১৫ রান। ৩৬৪ রান করে তারা বাংলাদেশকে হারায় ১৩৭ রানে।

বিশাল এই হারের বড় দায় বোলারদেরই। বিশেষ করে দায়টা অনেক বেশি পেসারদের। সহায়ক কন্ডিশন পেয়েও তাদের গুটিয়ে থাকা তৈরি করেছে প্রশ্ন। বোলারদের এমন এলোমেলো অবস্থা কেন এমন প্রশ্নে কিছুটা কণ্ঠ ভারি হয়ে গেলো দলের পেস আক্রমণের নেতা তাসকিনের,  'দুই ম্যাচ দিয়ে দুই বছরের অর্জনকে  এলোমেলো মনে করেন তাহলে আমাদের ব্যর্থতা। সামনে ভালো করার চেষ্টা করবো।  ভালো করতে পারিনি। সামনে করার চেষ্টা করবো।'

তাসকিন, শরিফুলরা এদিন বারবার লেন্থ মিস করেছেন। ভুল জায়গায় বল ফেলার খেসারত দিয়েছেন বিস্তর। নিজেদের ভুল অনুধাবন করতে পারছেন তারা,  'আরেকটু বেশি নিখুঁত হতে হবে। একেক ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা একেক রকম। সেই অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে। সেটা যদি করতে পারি, যত কম ডিফেন্ড করতে পারি তাহলে ভালো হবে। খারাপ বলের সংখ্যা কমাতে হবে।'

প্রথম ম্যাচে বাজে আউটফিল্ডের কারণে রানআপ নিতে সমস্যা হচ্ছিল তাসকিনদের। দ্বিতীয় ম্যাচেও এই সমস্যায় ভুগেছেন। তবে একই আউটফিল্ডে কোন সমস্যা হয়নি ইংলিশ পেসারদের। তাসকিন সমস্যা বললেও কোন অজুহাত তাই দিচ্ছেন না,  'রান আপের জায়গায় আমাদের সবারই মনে হচ্ছিল একটু অফ ব্যালেন্স হয়ে যাচ্ছিল, পিছলা হয়ে যাচ্ছিল। তাও আরো ভালো করা উচিত ছিল। অজুহাত দিয়ে লাভ নেই।'

'আসলে প্রয়োগ করতে পারিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী একটু খারাপ দিন গেছে। সবাই সবার সেরাটা দিতে পারিনি। কোনো কিছুর অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এর চেয়েও বাজে কন্ডিশনে ভালো করেছি আমরা। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Private airlines caught in a bind

Bangladesh’s private airline industry is struggling to stay afloat, hobbled by soaring fuel prices, punitive surcharges, and what operators describe as unfavourable policies. Of the 10 private carriers that have entered the market over the past three decades, only two -- US-Bangla Airlines and A

7h ago