আর কখনোই সেই ম্যাচের হাইলাইটস দেখেননি মরগ্যান
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হার বদলে দিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের মানসিকতা। সব কিছু ঢেলে সাজিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে তারা হয়ে উঠেছে বিশ্বসেরা। সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়ে গেছে অন্য ধাপে। সেই ম্যাচের ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান বললেন, কখনো তিক্ত স্মৃতি মনে করে নিজেকে বিষণ্ণ করতে রাজী নন তিনি।
মঙ্গলবার ধর্মশালায় আরেকটি বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। ২০১৫ সালের সেই ম্যাচের পরও অবশ্য বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। ২০১৯ বিশ্বকাপে কার্ডিফে মরগ্যানের ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ।
তবে যখনই বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ পড়েছে ইংল্যান্ডের বারবার উঠে এসেছে ২০১৫ প্রসঙ্গ। ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টের কথাতেও অনেকবার এসেছে সেই ম্যাচের হারের ধাক্কা প্রথাগত ঘরানার ক্রিকেট থেকে বের করে এনেছে ইংলিশদের। আগ্রাসী অ্যাপ্রোচ নিয়ে এখন তারা করছে বিশ্ব রাজত্ব।
সোমবার ধর্মশালায় ম্যাচের আগের দিন গণমাধ্যমের সঙ্গে আড্ডা দেন মরগ্যান। অবধারিতভাবে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ২০১৫ সালের হারের সেই ম্যাচের ফুটেজ কতবার দেখেছেন তিনি? এমন প্রশ্নে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে মরগ্যান বললেন, তিনি কখনই সেসব আর মনে করতে চাননি, 'আমি কখনই হাইলাইটস দেখিনি (তুমুল হাসি)। এটা তেতো স্মৃতি মনে করে সব সময়। নাসের হুসেইন সব সময় এটা মনে করেন। আমি কখনই আমার নিজের এসব স্মৃতি মনে করতে চাই না। তারা খুব ভালো দল, তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। ২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল ছিলো।'
বাংলাদেশকে প্রাপ্য সম্মান দিলেও ধর্মশালার কন্ডিশনে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সুবিধাই বেশি দেখছেন তিনি, 'তারা ট্রিকি দল। আমি যদিও মনে করি এই কন্ডিশন বাংলাদেশের চেয়ে ইংল্যান্ডকে বেশি সুবিধা দেবে। কারণ এখানে কিছু বাড়তি বাউন্স আছে। বাড়তি বাউন্স থাকলে ইংল্যান্ড পেসারদের জন্য সুবিধা হয়।'
তবে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক চোখে পড়েছে মরগ্যানের। সিনিয়র অভিজ্ঞ তারকাদের ছাপিয়ে তরুণদের ভালো করা মরগ্যানের চোখে বাংলাদেশের উন্নতির বড় দিক, 'সবচেয়ে ইতিবাচক হলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের তরুণরা ভালো করেছে। যেমন শান্ত, মিরাজ অভিজ্ঞদের চাপ কমিয়েছে। গতকাল আমরা দেখলাম ভারতের সিনিয়ররা চাপ সামলে ম্যাচ বের করেছে। এটা সাকিবকে সাহায্য করবে। '
Comments