‘ভালো হতো যদি বলতে পারতাম, বিশেষ একটি আঠা ব্যবহার করি’

Glenn Phillips
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এরকম একাধিক ক্যাচ নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।

গ্লেন ফিলিপসের ফিল্ডিং স্রেফ বিস্ময় আর মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায়। এমনকি মাঠে নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটারের ফিল্ডিং দেখে অবিশ্বাসে চোখ কচলাতেও হয় মাঝেমধ্যে। বিশ্বের সেরা ফিল্ডারদের একজন তিনি নিঃসন্দেহে। ফিল্ডিংয়ের কারিশমার পেছনে ফিলিপস অবশ্য ভাগ্যকেও যথেষ্ট কৃতিত্ব দিলেন।

শনিবার ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফিলিপস। সেখানে এক সাংবাদিক মজা করে প্রশ্ন করেন, হাতে কোনো আঠা লাগিয়ে ফিল্ডিং করেন কিনা ফিলিপস?

এই প্রশ্ন শুনে খোদ ফিলিপস হেসেছেন মন খুলে। হাসিমুখে এরপর উত্তর দিয়েছেন এভাবে, 'আমি মনে করি ভাগ্যের বড় অংশ এখানে জড়িত। ভালো হতো যদি বলতে পারতাম, যে বিশেষ একটি আঠা ব্যবহার করি। দুর্ভাগ্যবশত সেরকম ব্যাপার নয়। বরং আমার হাতের তালু অন্য যেকোন কিছুর চেয়ে বেশি ঘামে। হ্যাঁ, অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমের অবদান তো আছেই। এবং মৌলিক বিষয়াদি যতটুকু পারা যায় করে যাই। তারপর মাঝেমধ্যে শুধু ভাগ্য ভালো অবদান রাখে।'

চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইতোমধ্যে ফিল্ডিংয়ে নিজের ম্যাজিক দেখিয়েছেন ফিলিপস। তার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেওয়া ক্যাচটি টুর্নামেন্ট সেরা ক্যাচের দাবিদার। পয়েন্টে পাখির মতো লাফিয়ে এক হাতে ক্যাচ নেন তিনি।

ক্যাচিংয়ের পাশাপাশি গতি আর দারুণ থ্রোতে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও তিনি অসাধারণ। তার দিকে বল যাওয়া মানে প্রতিপক্ষের বাড়তি সতর্কতা।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যাট হাতে ভালো সময় পার করছেন ফিলিপস। বিধ্বংসী এই ব্যাটার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ভারতের বিরুদ্ধে ২১ রানে তিনি থেকেছেন অপরাজিত। মাঝেমধ্যে হাত ঘুরিয়ে অফ স্পিনেও রাখছেন অবদান।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

49m ago