বিশ্বকাপে মেসির অবস্থান করা কক্ষ রূপ নেবে জাদুঘরে

ছবি: টুইটার

আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় টুর্নামেন্ট নিশ্চিতভাবেই ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ। মরুর বুকে এই আসরেই প্রথমবারের মতো সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে সক্ষম হন তিনি। ক্ষুদে জাদুকরের স্মৃতি ধরে রাখতে চায় আয়োজক দেশ কাতারও। বিশ্বকাপ চলাকালীন যে কক্ষে অবস্থান করেছিলেন লা পুল্গা সেটিকে এবার জাদুঘরে রূপ দেওয়ার ঘোষণা দিল তারা।

কাতার বিশ্বকাপে অনেক দল বিলাসবহুল হোটেল ও রিসোর্টে অবস্থান করলেও অনুশীলন, জিম ও সুইমিং পুলের সুব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়কেই থাকার জন্য বেছে নেয় আর্জেন্টিনা। মেসিদের আতিথ্য দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। ফলে রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ীর স্মৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

কাতারের স্থানীয় বার্তা সংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সি মঙ্গলবার নিজেদের স্বীকৃত টুইটার অ্যাকাউন্টে নিশ্চিত করেছে এই খবর। সেখানে তারা জানিয়েছে, 'কাতার বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে যে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ চলাকালীন যে কক্ষটিতে অবস্থান করেছিলেন সেটিকে ছোট একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করবে তারা।'

এখন থেকে আর কোনো অতিথিকে এই কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দেবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সেখানে অবস্থানকালীন সময়ে মেসি ব্যবহার্য বস্তুগুলোও অপরিবর্তিত অবস্থায় সংরক্ষণ করবে তারা। প্যারিস সেইন্ট জার্মেই তারকার আক্ষেপ ঘুচানো এই আসরের স্মৃতি ছাত্র ও দর্শনার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করতেই বিশ্ববিদ্যালয়টির এমন উদ্যোগ।

স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক হিতমি আল হিতমি স্বদেশি পত্রিকা আল শার্ককে বলেছেন, 'আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ফুটবলার লিওনেল মেসির কক্ষটি অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে এবং শুধু দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবস্থান করার জন্য (কাউকে এটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না)। মেসির সকল জিনিস ছাত্র ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিদর্শন হবে এবং বিশ্বকাপে মেসির যে সকল দারুণ অর্জন রয়েছে সেসবের সাক্ষী হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago