বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় সারারাত কেঁদেছিলেন নেইমার

Neymar

২০১৪ সালের সেই কালো রাত ফিরে আসার শঙ্কায় পড়েছিলেন নেইমার। দারুণ ফর্মে থেকে আরেকটি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সার্বিয়ার বিপক্ষে পাওয়া চোটের পর রাতভর কেঁদেছিলেন ব্রাজিলের এই তারকা। তবে সব সামলে ঘুরে দাঁড়াতেও দেরি করেননি। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে নিজেকে নকআউট পর্বের আগেই প্রস্তুত করে ফেলেন তিনি।

সোমবার দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে প্রথম থেকেই নামেন নেইমার। দলের প্রথম গোলে অবদানের পাশাপাশি পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

ব্রাজিল ৪-১ গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার ম্যাচে খেলেছে চোখ ধাঁধানো ফুটবল। চোট কাটিয়ে কিছুটা আড়ষ্ট থাকলেও নেইমার ছিলেন সাবলীল।

এই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে নেইমার জানালেন, ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে দলের দারুণ জয়ের পর প্রচণ্ড বাজে রাত কেটেছিল তার,  'অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আমি খুব ভালো ফর্মে ছিলাম, দারুণ একটি মৌসুম পার করছিলাম। এরমধ্যে গোড়ালির চোট মেনে নেওয়া কঠিন। ওই রাতে আমি অনেক কেঁদেছি, আমার পরিবারের মানুষ জানে।'

এবার আর কাজ অসমাপ্ত রেখে যাতে সরতে না হয় তা নিয়ে বদ্ধ পরিকর ছিলেন নেইমার। ওই রাতেই শুরু করেন সেরে উঠার লড়াই। ফিজিওর সঙ্গে চলে কঠোর পরিশ্রম,  'তবে ফেরার লড়াই হয় দ্রুত। সব কিছু পরিকল্পনা করা হয়। এই লড়াই দারুণ। সেই রাত থেকে পরদিন ১১টা পর্যন্ত আমি ফিজিওর সঙ্গে কাজ করি। বাকি দিনগুলোতে ভোর ৫টা, ৬টা পর্যন্ত কাজ চলতে থাকে। এইসব কষ্ট সব উবে যাবে যদি শিরোপা জিততে পারি'

খারাপ সময়ে সতীর্থ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাঠানো বার্তায়  মনের জোর পাওয়ার কথা জানালেন এই তারকা,  'এরকম চোটের পর হাজারও ভয় ভিড় করেছিল। তবে আমার সতীর্থ ও পরিবার প্রচণ্ড সমর্থন যোগাতে থাকে। বাইরে থেকে অনেক বার্তা পাই। যা আমার মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। আমি সাহস ফিরে পাই।'

'যারা আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সবাইকে কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়। এখন আমি ব্রাজিলের জেতার জন্য সব কিছু করতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

3h ago