অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বাবা-ছেলের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া উদযাপন

মাঠে গোল দিয়েছেন বাবা মিচেল ডিউক। গ্যালারী বসে বসে দেখলেন পাঁচ বছরের জ্যাক্সটন ডিউক। মাঠে বাবা যেইভাবে উদযাপন করলেন, গ্যালারীতে বসে ঠিক তারই অনুকরণ করলেন জ্যাক্সটন। যা হৃদয় ছুঁয়েছে কোটি কোটি ফুটবল ভক্তদের।

ফুটবলের বাইরে মিচেল ডিউকের কাছে পরিবারই সব কিছু। অবশ্য শিক্ষাটা বাবা বিল ডিউক ও মা আরলিন ডিউকের কাছে পেয়েছেন তিনি। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিনও এই কথা এটাই মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, জীবনের সেরা মুহূর্তে পরিবার কাছে থাকলে প্রেরণাই থাকে ভিন্ন। মাঠেও দেখা গেল সেই চিত্র।

এদিন ম্যাচের ২৩তম মিনিটে তিউনিসিয়ানদের স্তব্ধ করে দেন মিচেল। বাঁ প্রান্ত ক্রেইগ গুডউইন ক্রস করার চেষ্টা করেছিলেন। এক অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার মাথায় লেগে চলে যায় ফাঁকায় থাকা মিচেলের কাছে। দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ৩১ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।

আর মিচেলের সেই গোলে শনিবার আল ওয়াকরাহর আল জানোব স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টিকে রইল নকআউট পর্বের আশা। সবচেয়ে বড় কথা ঘুচিয়েছে এক যুগের আক্ষেপ।

সবশেষ সেই ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এর পরের দুই বিশ্বকাপে জয় ধরা দেয়নি দলটি। ব্রাজিলে ২০১৪ সালে তিন ম্যাচেই হার। রাশিয়ায় ২০১৮ সালে ঘানার সঙ্গে সান্ত্বনার ড্র। অবশেষে আবার এলো জয়।

তবে ম্যাচে দাপট দেখিয়েছিল তিউনিসিয়াই। মাঝমাঠের দখল ধরে দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করল। কিন্তু সকারুদের রক্ষণ দুর্গ ভাঙতে পারলেন না ফরোয়ার্ড। কারণ ভাগ্যদেবী এদিন ছোট্ট জ্যাক্সটনের সঙ্গেই ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

6h ago