নেইমার আর খেলতে পারবেন না গ্রুপ পর্বে

ছবি: এএফপি

শঙ্কা ছিল। সেটা রূপ নিল বাস্তবে। গোড়ালির চোটে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার। তিনি খেলতে পারবেন না সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিলের সামনের দুটি ম্যাচে।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুসংবাদ দিয়েছে উড়তে থাকা ব্রাজিলের সমর্থকদের। দলটির চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমারকে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, চলমান আসরের প্রথম রাউন্ডে আর দেখা যাবে না নেইমারকে।

কেবল ৩০ বছর বয়সী নেইমার একা নন, জুভেন্তাস ডিফেন্ডার দানিলোও গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছেন। গণমাধ্যমের কাছে লাসমার বলেছেন, 'শনিবার বিকালে নেইমার ও দানিলোর এমআরআই করানোর পর আমরা উভয়ের গোড়ালির লিগামেন্টে চোট খুঁজে পেয়েছি।'

আরও বড় দুসংবাদের আভাস দিয়ে ব্রাজিল দলের চিকিৎসক যোগ করেছেন, 'তারা সামনের ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই মিস করবে এবং আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদেরকে সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসা দেওয়া হবে যাতে তারা আবারও বিশ্বকাপে খেলতে পারে।'

বিশ্বকাপের 'জি' গ্রুপের ম্যাচে আগের দিন ছন্দময় ফুটবলের পসরা সাজিয়ে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। সেলেসাওদের শুভ সূচনায় গোল না পেলেও দারুণ খেলেন নেইমার। কিন্তু ৭৯তম মিনিটে গোড়ালিতর চোটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

নেইমার অবশ্য আঘাত পেয়েছিলেন আরও ১২ মিনিট আগে। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের কড়া চ্যালেঞ্জে লুটিয়ে পড়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মাঠেই ছিলেন তিনি। কিন্তু পরে আর শরীর সায় না দেওয়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হতে হয় তাকে।

লুসাইল স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের বিপক্ষে ১২টি ফাউল করে সার্বিয়া। এর নয়টিই করা হয় নেইমারকে। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত হওয়া ১৮ ম্যাচে এটাই একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ফাউলের ঘটনা।

তখন থেকেই শঙ্কার দোলাচলে ছিলেন রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ভক্তরা। আঘাত পেয়ে নেইমারের ফুলে যাওয়া গোড়ালির ছবি সামাজিক মাধ্যমে হয়ে যায় ভাইরাল। যদিও কোচ তিতে বলেছিলেন, তার শিষ্যের চোট তেমন গুরুতর নয়।

উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে ২০১৪ সালে নেইমারের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। কলম্বিয়ার হুয়ান জুনিগার বিপজ্জনক ফাউলে মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। ফলে ছিটকে গিয়েছিলেন আসর থেকে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago