একদিন বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ জানাবেন সিমন্স

লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা জাভি সিমন্স ২০১৯ সালে যোগ দেন পিএসজিতে

তারকা খ্যাতি পেয়েছেন লা মাসিয়ায় থাকাকালীন সময়েই। কিন্তু সিনিয়র দলে অভিষেকের আগেই বার্সেলোনা ছাড়েন জাভি সিমন্স। যোগ দেন পিএসজিতে। সেখানে অবশ্য সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ধারে খেলে যাচ্ছেন অন্য ক্লাবে। তবে কেন বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন এ বিষয়টি এখনও অজানাই রয়ে গেছে। যদিও গুঞ্জন রয়েছে অনেক। তবে একদিন সবকিছু খোলাসা করবেন বলে জানিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ।

জার্মানির ডর্টমুন্ডে বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এগিয়ে থেকেও ইংল্যান্ডের কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের শুরুতেই এই সিমন্সের দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় ডাচরা। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি বেশিক্ষণ। বিতর্কিত এক পেনাল্টি গোলে সমতা ফিরে। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ে ওলি ওয়াটকিন্সের গোলে হারতেই হয় তাদের।

চোটের কারণে এবারের ইউরোতে খেলতে পারেননি বার্সেলোনার আরেক তারকা ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং। তার অনুপস্থিতিতে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন সিমন্স। যদিও ফাইনালের স্বপ্ন অধরায় রয়ে গেছে তাদের। ম্যাচ শেষে হারের ব্যাখ্যায় এই তরুণ বলেন, 'এটাই ফুটবল। আমরা শক্তি নিয়ে খেলেছি, তাদের ওপর চাপ দিয়েছি, যা তাদের অস্বস্তিকর করে তুলেছিল, কিন্তু তারা শেষ মুহূর্তে গোল করেছে।'

ডাচদের ইউরো মিশন শেষ হয়ে যাওয়ায় এবার ছুটিতে যাওয়ার সুযোগ মিলেছে সিমন্সের। তবে এখনও ক্লাব পর্যায়ে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়নি তার। লাইপজিগে ধারে এক মৌসুম দারুণ কাটানোর পর পিএসজিতে ফিরেছেন তিনি। যদিও ক্লাবটিতে থাকতে চাইছেন না বলেই গুঞ্জন। খুব শীগগিরই হয়তো পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন তিনি।

তবে প্রতিদিনই নিত্য নতুন গুঞ্জন উঠেছে আসছে। বার্সেলোনাতেই ফেরার গুঞ্জনও রয়েছে। যেখানে আবার বাধা ক্লাব মালিক নাসের আল খেলাইফি। অন্য যে কোনো ক্লাবে তাকে যেতে দিলেও বার্সায় যেতে দিবেন না তিনি। তবে গুঞ্জন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই সিমন্স, 'মানুষ কথা বলতে পারে এবং তারা যা চায় তা বলতে পারে। এতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি জানি আমার স্বপ্ন কী এবং আমি সেগুলো অর্জন করতে যাচ্ছি।'

উঠে আসে বার্সেলোনা ছাড়ার প্রসঙ্গও। উত্তরে এই তরুণ বলেন, 'আমি এমন একজন ছেলে যে আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রতিদিন কাজ করি। লোকেদের মতামত থাকতে পারে। তবে তারা যা বলে তা সত্য নয়। একদিন আমি যা কিছু ঘটেছে সে সম্পর্কে কথা বলব। অনেক লোক আছে যারা আমাকে সমর্থন করেছে এবং আমার উপর বাজি রেখেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

7h ago