৬ মিনিটের ঝড়ে স্বপ্নভঙ্গ তুর্কির, শেষ চারে ডাচরা
নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে নেদারল্যান্ডস শিবিরে পাল্টা আক্রমণ করে মাঝেমধ্যেই ভীতি ছড়াচ্ছিল তুরস্ক। এমনকি লিডও পেয়ে যায় দলটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এসে ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। ছয় মিনিটের ঝড়ে দুটি গোল হজম করে উল্টো পিছিয়ে পড়ে তারা। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি দলটি। তাতে দারুণ জয়ে সেমি-ফাইনালের টিকিট কাটল ডাচরা।
শনিবার রাতে বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিওনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে তুরস্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পায় নেদারল্যান্ডস। প্রথমার্ধে সামিত আকায়দিনের গোলে এগিয়ে ছিল তুরস্কই। দ্বিতীয়ার্ধে স্টেফান ডি ভ্রাইয়ের গোলের পর মার্ট মুলডারের আত্মঘাতী গোলে জয় নিশ্চিত হয় ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নদের।
মাঝমাঠের দখল ডাচদের বেশি থাকলেও ম্যাচে বেশি আক্রমণ করেছে তুরস্কই। বিশেষকরে শেষ দিকে তো একক আধিপত্য বজায় রেখে খেলেছে দলটি। মোট ১৫টি শট নেয় তারা। যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১১টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখছে নেদারল্যান্ডসও।
এদিন ম্যাচের প্রথম দুটি গোল আসে সেটপিস থেকে। ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় তুরস্ক। কর্নার থেকে সতীর্থের পা ঘুরে পান আর্দা গুলার। তার নিখুঁত ক্রসে জোরালো হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আকায়দিন। ৭৫তম মিনিটে একটি কর্নার পেয়ে সমতায় ফেরে ডাচরা। ছোট কর্নার থেকে বল পেয়ে মেমফিস ডিপাইয়ের ক্রসে একেবারে ফাঁকায় পেয়ে লাফিয়ে উঠে ডি ভারিয়ের বুলেট গতির হেড জাল খুঁজে নিলে স্বস্তি ফিরে ডাচ শিবিরে।
পাঁচ মিনিট পর কিছুটা নিজেদের ভুলেই গোল হজম করে তুরস্ক। ডান প্রান্ত থেকে ডেঞ্জেল ডামফ্রিসের ক্রস ঠেকাতে পারতেন তুরস্কের ডিফেন্ডার মুলডার। কিন্তু তা না করে পেছন থেকে ছুটে আসা কোডি গাপকোকে আটকাতে যান তিনি। তবে পারেননি। শেষ মুহূর্তে তার পায়ে লেগে বল গড়িয়ে চলে যায় জালে। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে তুর্কি। দারুণ কিছু সুযোগও পায় তারা। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে বিদায় নিতে হয় তাদের।
Comments