'মিস্টিয়ানো পেনাল্ডো' বলায় বিবিসির সমালোচনায় টেরি

অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। ব্রডকাস্টিং চ্যানেলে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টি মিসের পর ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'মিস্টিয়ানো পেনাল্ডো।' পৃথিবীর স্বনামধন্য একটি চ্যানেলে এমনটা দেখে বিস্মিত ফুটবল বিশ্ব। প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা। সমালোচনায় মেতেছেন জন টেরিসহ অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞও।

ঘটনাটি সোমবার রাতের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোয় পর্তুগাল ও স্লোভেনিয়ার মধ্যকার ম্যাচে। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ের খেলার মাঝামাঝি সময় চলছিল তখন। এমন সময় এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় পর্তুগাল। পেনাল্টি পায় দলটি। স্পট-কিক নিতে আসেন রোনালদো। কিন্তু রোনালদোর স্পটকিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।

সেই মিসের ভিডিও রিপ্লে করার সময় রোনালদোকে উপহাস করে বিবিসি স্পোর্টসের ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'মিস্টিয়ানো পেনাল্ডো।' যা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয় সিআর সেভেনের ভক্তদের মধ্যে। নিজের ইনস্টাগ্রামে রোনালদোকে উপহাস করা সেই ক্যাপশনের ছবি আপলোড করে স্টোরিতে শেয়ার করেন টেরি। বিষয়টির ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, 'বিবিসি, এটা অসম্মানজনক।'

২০০৮ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এই রোনালদোর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ফাইনালে হেরেছিল টেরির দল চেলসি। টাইব্রেকারে গড়ানো সেই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলেন টেরি। তাই পেনাল্টি মিসের ক্ষতটা খুব ভালো করেই জানেন সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডার। সেই ম্যাচে অবশ্য মিস করেছিলেন রোনালদোও।

রোনালদোকে এমন উপহাস করায় ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তার ভক্তরাও। অনেকেই বিবিসির স্পোর্টস পেজ আনফলো করার ডাক দিয়েছেন। অনেকে বিবিসির ফুটবল পণ্ডিতদের বলেছেন, 'টিকটক যুগের ফুটবল পণ্ডিত।' কেউবা ক্ষমা চাইতে বলেছেন তাদের।

উল্লেখ্য, সেই পেনাল্টি মিসের পর অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে অঝোরে কেঁদে ফেলেন রোনালদো। তাকে সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন তার সতীর্থ ও কোচিং স্টাফরা। তার মিসে অবশ্য বড় ক্ষতি হয়ে যায়নি দলের। গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার নৈপুণ্যে টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে পর্তুগাল। আর শ্যুটআউটে পর্তুগালের হয়ে প্রথম লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদোই।

Comments

The Daily Star  | English

100 days of govt: Major steps taken towards a ‘new Bangladesh’

Despite numerous challenges, the interim government over the last 100 days has taken many timely and significant steps that align with the vision of building a “new Bangladesh”, observed Transparency International Bangladesh yesterday.

4h ago