অতিরিক্ত ৮ মিনিট দেওয়াকে 'ননসেন্স' বললেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ

ম্যাচের যোগ করা অষ্টম মিনিটের শেষ মুহূর্তে জাকাগ্নির গোলে হৃদয় ভাঙে ক্রোয়েশিয়ার

নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। চলছিল যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের খেলা। তাও প্রায় শেষ মুহূর্তে। শেষ বাঁশী বাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রেফারি। ঠিক তখনই মাতিয়া জাকাগ্নির দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরে ইতালি। হৃদয় ভাঙে ক্রোয়েশিয়ার। অন্যথায় দ্বিতীয় রাউন্ডে এক পা দিয়েই রেখেছিল দলটি। ম্যাচে একটু বেশিই অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ।

সোমবার রাতে জার্মানির লাইপজিগ স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ক্রোয়েটদের এগিয়ে দেন লুকা মদ্রিচ। সেই লিড ধরে রেখেছিল শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটের অন্তিম মুহূর্তে জাকাগ্নির গোলে সমতায় ফেরে আজ্জুরিরা। তাতেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

রেফারি ড্যানি ম্যাকেলির দেওয়া অতিরিক্ত সময় নিয়ে মোটেও খুশি ছিলেন না ক্রোয়েট কোচ দালিচ। আট মিনিটের সময় দেওয়াকে 'ননসেন্স' বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই কোচ। একই সঙ্গে উয়েফা এবং ফিফাকে দোষারোপও করেছেন এই কোচ, 'আমি জানি না যোগ করা সময় আট মিনিট ছিল কিনা কিন্তু আপনি যেমন জানেন ফিফা এবং উয়েফা...আমরা একটি ছোট দেশ। কেউ আমাদের নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করে না, তাই আমাদের নিজেদের জন্য দাঁড়াতে হবে।'

তোপ দাগিয়ে আরও বলেন, 'এই ম্যাচে আপনার যোগ করা আট মিনিট সময় থাকতে পারে না। আট মিনিট, এটা ননসেন্স। খেলায় খুব বেশি বিরতি ছিল না বা খুব বেশি ফাউল ছিল না এটাকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য। আমি এটাতে খুব বেশি প্রবেশ করতে চাই না। আমি কি ঘটছে তা নিয়ে ঝগড়া করতে চাই না। আমি মনে করি ক্রোয়েশিয়াকে সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়া দরকার।'

তবে শিষ্যদের নিয়ে দারুণ গর্বিত এই কোচ, 'আমি ছেলেদের তাদের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং ফ্যানদেরও। তারা প্রমাণ করেছে যে তাদের দেশকে সমর্থন করার অর্থ কী। আমরা তাদের জন্য খুব গর্বিত। কিন্তু এইভাবেই জিনিসগুলো তৈরি হয়। আপনি ৯৮তম মিনিটে এমন একটি গোল মানতে পারবেন না। কিন্তু ফুটবলটা এমনই। জীবন চলে যায়।'

বার্লিনের অলিম্পিয়া স্তাদিওতে আগামী শনিবার (২৯ জুন) শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইতালি।

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

5h ago