২৩ সেকেন্ডে গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল ইতালি
খেলা শুরুর স্রেফ ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে গোল হজম করে বসল ইতালি। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ্জুরিরা এগিয়ে যেতে বেশি সময় নিল না। আলবেনিয়া শেষদিকে কিছুটা চাপ তৈরি করলেও সেই লিড আগলে রাখল লুসিয়ানো স্পালেত্তির দল। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করল তারা।
জার্মানির ডর্টমুন্ডে 'বি' গ্রুপের ম্যাচে শনিবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে ইতালি। নেদিম বাইরামির লক্ষ্যভেদে আলবেনিয়া আচমকা এগিয়ে যাওয়ার পর ইউরোর দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের একাদশ মিনিটে সমতায় ফেরান আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। পাঁচ মিনিট পর নিকোলো বারেল্লা জাল খুঁজে নিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা করেন ইতালিয়ানদের। শেষমেশ তা পরিণত হয় জয়সূচক গোলে।
হার নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ইউরোর মূল পর্বে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন বাইরামি। আগের কীর্তিটি ছিল রাশিয়ার দিমিত্রি কিরিচেঙ্কোর। ২০০৪ সালের আসরের গ্রুপ পর্বে গ্রিসের বিপক্ষে ৬৭ সেকেন্ডে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি।
নিজেদের ভুলেই বল জড়ায় ইতালির জালে। সিগনাল ইদুনা পার্কের গ্যালারিতে হয়তো তখনও নড়েচড়ে বসেননি দর্শকরা। নিজেদের অর্ধে থ্রো-ইন পেয়েছিল ইতালিয়ানরা। ফেদেরিকো দিমারকো ডি-বক্সে সতীর্থকে খুঁজে নিতে গিয়ে অমার্জনীয় ভুল করে ফেলেন। আলগা বল ধরে একজনকে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে বাইরামি নেন শট। পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায় বল।
তেতে ওঠা ইতালি এরপর একের পর এক আক্রমণ শানায় প্রতিপক্ষের গোলমুখে। দুবার দ্রুতই আসে উদযাপনের মুহূর্ত। লরেঞ্জো পেল্লেগ্রিনির ক্রসে হেড করে বাস্তোনি সমতা টানার পর প্রতিপক্ষের পা ঘুরে পাওয়া বল ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জালে পাঠান বারেল্লা।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে অবশ্য আলবেনিয়া ধরায় ভীতি। তবে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোতে খেলতে আসা দলটি স্বপ্নের মতো শুরুকে পূর্ণতা দিতে পারেনি। ডি-বক্সের ভেতরে দুরূহ কোণ থেকে রে মানাই নেন শট। তবে গোলপোস্ট ছেড়ে সময়মতো বেরিয়ে আসা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজ দোন্নারুম্মার গায়ে লেগে বল দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ইতালি।
স্পেন আর ক্রোয়েশিয়াও থাকায় এবারের আসরে 'গ্রুপ অব ডেথ' তকমা পেয়েছে গ্রুপ 'বি'। ওই দুই দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের আগে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জনের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছে ইতালি। এই গ্রুপের আগের ম্যাচে বার্লিনে স্পেন ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে।
Comments