প্যারিস অলিম্পিক

বিয়ের আংটি সেন নদীতে খুইয়ে ক্ষমা চাইলেন সোনাজয়ী তাম্বেরি

ছবি: এএফপি

অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইতালির পতাকা উড়ছিল তার হাতে। আবেগ ছাপিয়ে যাওয়াটা তখন একেবারেই স্বাভাবিক। সেই উত্তেজনায়ই কিনা জিয়ানমার্কো তাম্বেরি খুইয়ে বসলেন বিয়ের আংটি! সেটিও প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী আয়োজনের মঞ্চ সেন নদীতে।

অলিম্পিকে সোনাজয়ী ইতালির এই হাই জাম্পার তার স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অনুমিতভাবেই। সঙ্গে আংটি হারানোর ঘটনাটি সবিস্তারে জানিয়েছেন দারুণভাবে।

একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে তার স্ত্রী চিয়ারা বনতেম্পির উদ্দেশ্যে গতকাল শনিবার তিনি লিখেছেন, 'অনেক পানি, শেষ কয়েক মাসে অনেক বেশি ওজন হারানো অথবা আমরা যা করছিলাম সেটি নিয়ে অদম্য উদ্দীপনা... সম্ভবত সবগুলো জিনিসই। সত্য তবুও এটাই থাকছে যে আমি আমার বিয়ের আংটি (আঙুল থেকে) পড়ে যেতে দেখেছি, আমি এটাকে উড়ে যেতে দেখেছি, আমার দৃষ্টিতে সেটাকে অনুসরণ করেছি যতক্ষণ না নৌকার ভিতরে সেটা পড়ে লাফিয়ে (উঠে বাইরে চলে) গেছে।'

এবারই প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামের বাইরে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে। প্যারিসের সেন নদীতে বিভিন্ন ধরনের জলযানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় সারা দুনিয়ার দর্শকদের। তখন তাম্বেরির আঙুল থেকে আংটি পড়ে গিয়ে নৌকায় বাউন্স করে। এরপর চলে যায় আইফেল টাওয়ারের পাশের নদীটির অতল গহ্বরে।

নদীর বুকেই গুরুত্বপূর্ণ আংটি হারিয়ে ফেলার ভালো দিকও খুঁজে পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী তাম্বেরি, 'এটা সত্যি যদি ঘটতেই হতো, আমাকে যদি এটা সত্যিই খোয়াতে হতো, আমি এর চাইতে ভালো জায়গার কথা ভাবতে পারি না। এটা আজীবনের জন্য ভালোবাসার শহরের (প্যারিস) নদীগর্ভে থাকবে। আরও বড় সোনা (পদক) নিয়ে বাড়ি ফেরার ভালো পূর্বলক্ষণ হোক এটি।'

২০২১ সালে আয়োজিত সবশেষ আয়োজিত টোকিও অলিম্পিকে হাই জাম্পে সোনা জিতেছিলেন তাম্বেরি। পরের বছর চিয়ারার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই ক্রীড়াবিদ। বিয়ের আংটি হারিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিতে দেরি করেননি তিনি, 'আমি দুঃখিত, আমি দুঃখিত প্রিয়।' আরেকটি পোস্টে তাম্বেরির স্ত্রী জবাব দিয়েছেন এভাবে, 'একমাত্র তুমি এটাকে (আংটি হারানো) রোমান্টিক কিছুতে পরিণত করতে পারো।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

21m ago