মিরাজের ঘূর্ণিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের
আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগই পাননি শামিম হোসেন পাটোয়ারি। তারপরও দ্বিতীয় ম্যাচে বাদ পড়েন এ ক্রিকেটার। তার জায়গায় নেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। আর কেন নেওয়া হয়েছে তা দারুণভাবেই দেখিয়ে দিলেন এ অলরাউন্ডার। তার ঘূর্ণিতে ইংলিশদের দেওয়া লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখতে পেরেছে টাইগাররা।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৭ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় দলটি।
সাগরিকায় দুই দলের সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথমবারের মতো ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। মিরপুরে এবার প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের হাতছানি টাইগারদের। প্রয়োজন কেবল দায়িত্বশীল ব্যাটিং।
এদিন ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। প্রথম ওভারেই উইকেট পান তিনি। ফেরান মঈন আলীকে। এরপর একে একে শিকার করেন স্যাম কারান, ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডানকে। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রানের খরচায় পান ৪ উইকেট।
এদিনও টস জিতেছিল বাংলাদেশই। ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ফেরান ডাভিড মালানকে। তার বলে স্লগ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে টপএজ হয়ে চলে যায় থার্ডম্যানে দাঁড়ানো হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচে পরিণত হন এ ওপেনার।
এরপর মঈন আলীকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার ফিল সল্ট। ৩৪ রানের জুটিও গড়েন তারা। তবে এরপর দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে টাইগাররা। সল্টকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন অধিনায়ক সাকিব। কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে সাকিবের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সল্ট। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ রান।
এ জুটি ভেঙে দারুণভাবে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে টাইগাররা। ৭ রানের ব্যবধানে আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় দলটি। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলারকে বোল্ড করে দেন হাসান মাহমুদ। আর মিরাজের বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে অতিরিক্ত ফিল্ডার শামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মঈন।
এরপর স্যাম কারানকে সঙ্গে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান বেন ডাকেট। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। কারানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন মিরাজ। এক বল পর ক্রিস ওকসকেও একই কায়দায় বিদায় করেন এ অলরাউন্ডার। ফলে দলীয় শতকের আগেই লেজ বেরিয়ে আসে ইংলিশদের।
পরের ওভারে ফিরে ক্রিস ক্রিস জর্ডানকে ফেরান মিরাজ। ডাকেট অবশ্য এক প্রান্ত ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ দিকে হাত খুলে খেলার চেষ্টায় মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আকাশে তুলে দেন। মিডঅফ থেকে দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর অভিষিক্ত রেহান আহমেদ ও জোফরা আর্চার দুইজনই বাই রান নিতে গিয়ে পড়েন রানআউটের ফাঁদে।
Comments